এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিধানসভা নির্বাচনের সময় মহিলা তৃণমূল কর্মীকে ‘নিগ্রহের’ জেরে আদালতে ডাক বিজেপি শীর্ষনেতাকে

বিধানসভা নির্বাচনের সময় মহিলা তৃণমূল কর্মীকে ‘নিগ্রহের’ জেরে আদালতে ডাক বিজেপি শীর্ষনেতাকে

রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের  ভোট গ্রহণ পর্ব চলাকালীন সময়ে ২০১৬ সালের ২৫ শে এপ্রিল এক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিলো  রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য সেই সময়ে উত্তর হাওড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত হাওড়ার মালিপাঁচঘড়ায় সেদিনের ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের স্মরনাপন্ন হয়েছিলেন। আর সেই ঘটনায় আদালত অবধি গড়ায়।

সোমবার সেই মামলার শুনানী হলো। সেই শুনানীতে হাজিরা দিতে হাওড়ার পঞ্চম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে উপস্থিত হলেন  রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এত কিছুর পরেও এদিন এই মামলার শুনানি হলোনা। এই মামলাটি স্পেশাল কোর্টে পাঠানোর সম্ভবনাও দেখা দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী বললেন, বিজেপি দলের উদ্যোগে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় একটি বিল পাশ হয়। যেখানে মন্ত্রী, সাংসদ এবং বিধায়কদের জন্য একটি স্পেশাল কোর্ট কররা আর্জি করা হয়েছিলো।

এদিন বিচারক এই মামলাটি সেই কোর্টে ট্রান্সফার করতে নির্দেশ দিলেন। সংশ্লিষ্ট বিচারপতির কাছে  থাকা নোটিফিকেশন রয়েছে তাতেও সেই নিয়মই আছে বলেও দাবি করলেন নেত্রী। এবং জানালেন এদিন বিচারপতি তাঁর হাজিরার কথা নথিভূক্ত করেছেন। রূপা দেবীর মতে, বিচারপতির কাছে নোটিফিকেশন এসে গিয়েছে তাই এই মামলাটি তিনি স্পেশাল কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন। তবে নেত্রীর ধারণার এই ধরণের কেসের মেয়াদ দীর্ঘকালীন হয়ে থাকে। তাই স্পেশাল কোর্টে বিচারপ্রক্রিয়া টি বদলি হয়ে গেলে এই ধরণের মামলার দীর্ঘকাল ধরে চলা তকমা অচিরেই ঘুচে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

এদিকে একটি আইনী কাগজ যা বিজেপি দলের কাছে  পাঠানো হয়েছে, বিজেপি নেত্রীর দাবি সেই কাগজ দলের আইনজীবিদের কাছে বোধগম্য হচ্ছেনা। একই জিনিস যদি অভিযোগকারীকেও পাঠান হয়ে থাকে সবং সেটাও যদি একইরকম ভাবে ঐ তরফের কাছে দুর্বোধ্য ঠেকে তাহলে সেটা অত্যন্ত আশ্চর্জনক জিনিস হবে। এরপরেই বিজেপি নেত্রী কটাক্ষ করে বললেন, এই কাগজটি পড়াও যাবেনা কারণ তাঁর দাবি এতে করে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে ঘটনার প্রকৃত সত্যতা প্রকাশ হয়ে যাবে। যা স্বভাবতই রাজ্যবাসীর কাছে রাজ্য সরকারের অবস্থান হাস্যকর করে তুলবে।

এরপরেই সেদিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে নেত্রী বললেন, ”  সোমা নামে ওই মেয়েটি ভোটের দিন যখন ওই বুথে আমার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করতে এল, সে প্রথমে চিত্‍কার করে ঝগড়া শুরু করল। সেখানে লোডশেডিং হয়ে গিয়েছে, বয়ষ্ক লোকেদের কষ্ট হচ্ছে! সেটা বলতেই উনি এসে আমার সঙ্গে মারামারি লাগিয়ে দিলেন। আমারই কাঁধে হাত দিতে গিয়ে আমাকে ধাক্কা মারলেন উনি। আমি তখন হাতটা সরাতে যাই। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে দেখান হল মনে হল যেন আমি মেরেছি।” এরপরে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করলেন তাঁর কাছে ঐদিনের ঘটনার সমস্ত প্রমাণ রয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!