এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিধানসভা থেকে লোকসভা – ক্রমশ পিছোচ্ছে শাসকদল! পুরভোট নিয়ে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে শাসকশিবিরে

বিধানসভা থেকে লোকসভা – ক্রমশ পিছোচ্ছে শাসকদল! পুরভোট নিয়ে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে শাসকশিবিরে

 

2016 সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে বালুরঘাটে তৃণমূলের খারাপ দিন শুরু হয়েছিল। বালুরঘাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী হয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেও আরএসপি প্রার্থী বিশ্বনাথ চৌধুরীর কাছে হেরে যেতে হয়েছিল শংকর চক্রবর্তীকে। সেই সময় দলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করেছিল তৃণমূলের একাংশ।

পরবর্তীতে সদ্যসমাপ্ত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনেও বালুরঘাট বিধানসভা থেকে ব্যাপক ভোটে পিছিয়ে পড়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। যার কারণে লোকসভাতেও বালুরঘাট আসনটি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। আর লোকসভা থেকে বিধানসভা, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বালুরঘাটের তৃণমূলের এই ভরাডুবি এখন চিন্তা বাড়াচ্ছে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।

বস্তুত, অতীতে এই বালুরঘাট পৌরসভায় বামেদের বোর্ড থাকলেও 2014 সালে এইখানে প্রথম বোর্ড দখল করে তৃণমূল। বালুরঘাটের 25 টি ওয়ার্ডের মধ্যে 14 টি ওয়ার্ড তৃণমূল নিজেদের দখলে রাখে। অন্যদিকে আরএসপির দখলে যায় 11 টি ওয়ার্ড। পরবর্তীতে বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান চয়নিকা লাহার মৃত্যুর কারণে তৃণমূল 13 টি আসনে নেমে আসে। আর এরপর চেয়ারম্যান হন রাজেন শীল।

কিন্তু বিভিন্ন সময়েই সেই চেয়ারম্যান সহ বালুরঘাট পৌরসভার তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলরের দুর্নীতি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। আর পৌরসভায় দলের ভাবমূর্তি দিনকে দিন খারাপ হওয়াতেই লোকসভা থেকে বিধানসভায় তৃণমূল এই খারাপ ফলাফল হয়েছে বলে দাবি করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। দেখা যায়, বালুরঘাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূলের নিজেদের কর্মী- সমর্থকদের মধ্যেই প্রবল গোষ্ঠী কোন্দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও সংস্কৃতির শহর বলে পরিচিত বালুরঘাটে সেইভাবে তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো নেতৃত্ব নেই বলেও দাবি করে বিভিন্ন মহল। এই পরিস্থিতিতে মেয়াদউত্তীর্ণ বালুরঘাট পৌরসভার নির্বাচন সংগঠিত হলে কিভাবে সেখানে জয় লাভ করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রবল চিন্তা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে কে প্রার্থী হবে, তা নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূল কমাবে, নাকি নির্বাচনে জয়ের জন্য মনোযোগী হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। যদিও বা পৌরসভা নির্বাচনে তাদের ফল অত্যন্ত ভালো হবে বলে দাবি করছেন বালুরঘাট টাউন তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ চাকী।

এদিন তিনি বলেন, “আমাদের সাংগঠনিক কিছু ভুল ত্রুটি থাকার কারণে বিধানসভা ও লোকসভায় এই শহরে খারাপ ফল হয়েছিল। তবে এখন সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। আমরা শহরে এখন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। পুরভোট যেদিন ঘোষণা হবে, সেদিনই আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে বৈঠক করা হবে।”

তবে সুভাষবাবু যাই বলুন না কেন, প্রবল দুর্নীতি, জনসংযোগের অভাব এবং নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে বালুরঘাট পৌরসভা বোর্ড দখল যে তৃণমূলের পক্ষে অসম্ভব হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। তবে শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত কিছু অশনিসংকেতকে কাটিয়ে তৃণমূল ভালো দিকে এগিয়ে যেতে পারে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!