এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভায় তৃণমূলকে মাত দিতে এবার বিজেপির সেলিব্রিটি ফর্মূলা! এই মাসেই বড় পদক্ষেপ?

বিধানসভায় তৃণমূলকে মাত দিতে এবার বিজেপির সেলিব্রিটি ফর্মূলা! এই মাসেই বড় পদক্ষেপ?

 

তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাই শহীদ সমাবেশ থেকে শুরু করে দলের প্রার্থী তালিকা পর্যন্ত সবখানেই চলচ্চিত্র অভিনেতা- অভিনেত্রীদের অবস্থান চোখে পড়ার মত। শুধু টলিউডের সিনেমা আর্টিস্ট নয়, মেগা সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রীরাও রীতিমত উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত থাকেন শাসকদলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রেও যে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।

তবে এবার বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমান সমান লড়াই দিতে নিজেদের দলেও বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং রুপোলি পর্দার কলাকুশলীদের ও খেলাধুলার জগৎ থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সৃজনশীল মানুষদেরকে যোগদান করানো এবং দলীয় ভাবে তাদেরকে সক্রিয় করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে বিশেষ সূত্রের খবর। তবে বঙ্গ বিজেপিতে ইতিপূর্বে অনেক সেলিব্রেটিরা নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে।

যেমন হেমা মালোনি, সানি দেওল, রিতেশ তেওয়ারি ইত্যাদি অনেক নাম রয়েছে। তেমনই বাংলার ক্ষেত্রেও এর আগেও প্রসিদ্ধ গায়ক কুমার শানু, ম্যাজিশিয়ান পিসি সরকার, কন্ঠশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী ইত্যাদি শিল্পীরা ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কেউ কেউ নির্বাচনে লড়াই করেছেন।

তবে দলের জন্য সবসময় লড়াইয়ের ময়দানে থেকে দলের মাটিকে শক্ত করা এবং রাজনীতির আঙিনায় টিকে থাকার থেকে অবশ্য ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে অনেকের থেকে অনেক আগেই এগিয়ে রয়েছেন রুপা গাঙ্গুলী, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

2019 সালের নির্বাচনে ভোটে জিতে লকেট চট্টোপাধ্যায় যেমন সাংসদ হয়েছেন, তেমনই রূপা গাঙ্গুলী হয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ। তবে 2021 সালের আগে বাংলার মাটিতে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে, এমনকি বিধানসভা নির্বাচনে অনেক কলাকুশলী বুদ্ধিজীবীদেরকে রীতিমতো প্রার্থী করে লড়াই করবার জন্য আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই দলকে তৈরি করতে চাইছে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলে খবর।

তবে দলের তরফ থেকে কলাকুশলীদেরকে যোগদান করার কর্মসূচি অবশ্য অনেক আগের থেকেই চলছে। দিল্লিতে ভারতীয় জনতা পার্টির সদর দপ্তরে গিয়ে এর আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রূপাঞ্জনা থেকে শুরু করে কাঞ্চনা মৈত্র, অঞ্জনা বসু, অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র সহ প্রমূখ। কিন্তু এখানেই না থেমে থেকে আগামীতে আরও বড় পরিমাণে শিল্পী-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদেরকে ভারতীয় জনতা পার্টি অভিমুখী করানোর জন্য সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির থেকে।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে যেমন সেলিব্রিটি তথা বিজেপির অন্যতম নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন, তেমনই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে যাদবপুর এবং বসিরহাট থেকে ব্যাপক মার্জিনে জয়যুক্ত হয়েছেন তৃণমূলের দুই সেলিব্রেটি প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরাত জাহান। কাজেই শাসক দলকে একেবারে কানায় কানায় টক্কর দেওয়ার জন্য নিজেদের সেলিব্রেটি অস্ত্রে ধার দিতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যোগদানকারী অনেকে কলাকুশলীদেরকেই পার্টির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

তবে গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “শুধু সেলিব্রিটি হলেই যে প্রার্থী করা হবে, এমন নয়। প্রার্থীকে অবশ্যই জনপ্রিয় এবং পরিচিত হতে হবে। জেতার ক্ষমতা রয়েছে, এমন যোগ্যদেরকেই প্রার্থী করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।” ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে 18 টি আসন পাওয়ার পরে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনকে রীতিমতো টার্গেট করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এই বিষয়ে তাই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। দলের কার্যকলাপের উপরে সর্বদাই নজর রয়েছে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ফলে পশ্চিমবঙ্গে যেখানে নাগরিক সমাজের উপরে একটা বড় প্রভাব রয়েছে বুদ্ধিজীবীদের, সেইখানে নিজেদের দলের অভ্যন্তরে কলাকুশলী, শিল্পী-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা বাড়িয়ে শাসক দলকে পর্যুদস্ত করতে চায় পদ্মফুল শিবির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!