বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বদল নিয়ে মুখ খুলে অনুব্রতর অস্বস্তি বাড়ালেন দলীয় পদাধিকারী নেতা, জেনে নিন! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য October 6, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলার রাজনীতিতে বরাবরই শেষ কথা বলে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টদা। বিগত দীর্ঘ তৃণমূল কংগ্রেস জামানায় কখনই তার সামনে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে দেখা যায়নি কোনো জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে সেই পরম্পরায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে কয়েকদিন আগে দলের এক বুথ সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সামনে মুখ খুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, সভা কক্ষ ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন। আর এবার ঠিক সেই রকমই দলের প্রার্থী বাছাই ঠিকঠাক না হলে আগামী দিনে দলের নির্বাচনী ভোটবাক্স তার প্রভাব পড়বে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বীরভূম জেলার এক বুথ সভাপতি। বস্তুত, যদি দলের তরফে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পরিবর্তন না করা হয়, তাহলে ভোটবাক্স যে তৃণমূলের জন্য রিক্ত হতে পারে, সেকথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন নলহাটি 1 নম্বর ব্লকের পাইকপাড়া অঞ্চলের বসন্ত গ্রামের বুথ সভাপতি। এদিন নলহাটি হরিপ্রসাদ হাই স্কুলের অঞ্চলভিত্তিক বুথ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জানা যায়, প্রথমদিকে অনুষ্ঠানে চিরাচরিতভাবে সওয়াল জবাব চললেও, পরবর্তীতে অনুব্রতবাবু প্রশ্ন করে বসেন বসন্তপুরের সভাপতিকে। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেই বুথ সভাপতিকে প্রশ্ন করেন, আগামী নির্বাচনে কি দলের জয়ের ব্যবধান বাড়বে? আর তারপরেই তৃণমূলের বুথ সভাপতি বলেন, “যদি প্রার্থী বদল করা না যায়, তাহলে আমরা শূন্য হয়ে যাব। বদল করলে বিরোধীরা শূণ্য হয়ে যাবে।” এদিকে এই কথা বলার পরেই নলহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সেন তার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাইকপাড়া অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করব। আমি বিধায়ক বা সাংসদ নই। তাই অনুরোধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।” কিন্তু প্রকাশ্য সভায় তিনি কেন এভাবে এই কথা বললেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই আবুল হাসনাত বলেন, “বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু ভোটের পরে আর গ্রামে যাননি। আজও গ্রামের মানুষজন জলকষ্টে ভুগছেন। তাই স্থানীয় প্রার্থীর কথা বলেছি।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে এই ব্যাপারে নলহাটি তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “যখন জয়ী হই, তখন নলহাটি বিধানসভায় পাহাড়প্রমাণ সমস্যা ছিল। অনেক সমাধান করেছি। বসন্ত গ্রামে পানীয় জলের জন্য সাবমারসিবল বসানোর কাজ চলছিল। কিন্তু সেখানে জলস্তর অনেক নিচে থাকায় সম্ভব হয়নি।” স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বদল নিয়ে যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের সামনে মুখ খুললেন এক তৃণমূল নেতা, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তৃণমূলের এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “আগে জেলা সভাপতি ও নেতাদের ভয় করতেন কর্মীরা। এখন তারা প্রশ্ন করছেন। যদি এইসব প্রতি বুথে সভাপতি ও কর্মীদের তৃণমূল বহিষ্কার করে, তাহলে তাদের জন্য বিজেপির দরজা খোলা আছে।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -