এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভার শেষে ক্ষমতায় গেরুয়া শিবিরই? স্পষ্ট ঘোষণায় নির্বাচনী উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিলেন মোদী

বিধানসভার শেষে ক্ষমতায় গেরুয়া শিবিরই? স্পষ্ট ঘোষণায় নির্বাচনী উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিলেন মোদী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনেই ভোটের ফল ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বিহারে চলছে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। দ্বিতীয় দফায় বিহারে ৯৪ টি আসনে চলছে ভোট গ্রহণ। বিহারে আজ তৃতীয় দফার ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। আজ বিহারে জোড়া জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করলেন যে, এনডিএ জোট আবার বিহারের মসনদে বসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, প্রাথমিক পর্বের গ্রাউন্ড রিপোর্ট থেকে একথাই জানা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মুখে এই ঘোষণা শুনে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় দফার ভোট প্রচারের নামে দ্বিতীয় দফার ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এখনও পর্যন্ত ১১ টি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের যৌথ জনসভাও তিনি করেছেন। আজ তৃতীয় দফার ভোটের প্রচারে এসে জোড়া জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। আরজেডির গড় হিসেবে পরিচিত আরারিয়ায় প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, বিহারে জঙ্গল রাজ আর ফিরে আসবে না। গ্রাউন্ড রিপোর্ট এনডিএর ফিরে আসার কথাই জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ” আমরা প্রাথমিক খবর যা পাচ্ছি তাতে বিহার স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে, এনডিএ ফের ক্ষমতায় আসছে। ভোটাররা ঠিক করে ফেলেছে রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চান তাঁরা। ডবল ইঞ্জিন সরকার ফিরলে বিহারের উন্নয়ন আরও তরান্বিত হবে। বিহারের মানুষ দুই যুবরাজকে প্রত্যাখ্যান করেছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজকের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আরো বলতে শোনা গেল যে, প্রধানমন্ত্রী বারবার নির্বাচনে জয়লাভ করেন এটা কারোর কাছে খুব সমস্যার বিষয়। নিজের জেতার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন যে, তিনি গরিবদের সমস্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন যে, তিনি গরিবদের পরিস্থিতি বদলাবারও চেষ্টা করেন। এ কারণেই সকলে তাঁকে আশীর্বাদ করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী আরো জানালেন যে, এখন পরিবারতন্ত্রের পরাজয় হচ্ছে, জয়লাভ করছে গণতন্ত্র। অহংকারের পতন ঘটছে, জয়লাভ করছে পরিশ্রম।

এভাবেই, প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিভিন্ন জনসভা থেকে এনডিএ জোটের বিরোধী শক্তি, অর্থাৎ মহাজোটের বিরুদ্ধে একাধিক বিষোদগার করেছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তিনি কোন জনসভা থেকেই লোক জনশক্তির পার্টির প্রধান চিরাগ পাসোয়ানের বিরুদ্ধে কোনো বিষেদাগার করেন নি। অথচ, চিরাগ পাসোয়ান বারবার বিরূপ মন্তব্যে করেছেন নীতীশ কুমারের প্রতি। আজকের এক জনসভা থেকেও চিরাগ পাসোয়ান ঘোষণা করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বিহারের মসনদে আর কোনদিন আসতে পারবেন না নীতিশ কুমার।

তবে, বিহারের নির্বাচন শেষ হওয়ার পূর্বেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ক্ষমতায় আসার ঘোষণা করে রাজনৈতিক উত্তেজনা অনেকটা বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে বিরোধীদের মনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!