এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা নির্বাচনে জোট জটিলতা কাটল এনডিএর, জেনে নিন!

বিধানসভা নির্বাচনে জোট জটিলতা কাটল এনডিএর, জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তবে এবারের নির্বাচনে বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ কিভাবে আসন বন্টন করে, কে কটা আসনে লড়ে, তা অবশ্যই দেখার বিষয় ছিল রাজনৈতিক মহলের কাছে। অবশেষে সেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের মধ্যে আসন বণ্টন চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি এবং জেডিইউ। জানা গেছে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ 122 টি আসনের লড়াই করবে এবং বিজেপি লড়াই করবে 95 টি আসনে।

অন্যদিকে রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির জন্য 25 টি আসন ছেড়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু এত কম আসন তাদের জন্য বরাদ্দ করায় তারা এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে নতুন করে নিজেদের মত লড়াই করতে পারে বলে খবর। অনেকেরই প্রশ্ন যদি লোক জনশক্তি পার্টি ক্ষিপ্ত হতে শুরু করে তাহলে নিতিশ কুমার এবং ভারতীয় জনতা পার্টির চাপ এখানে অনেকটাই বৃদ্ধি হবে। ইতিমধ্যেই লোক জনশক্তি পার্টির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আস্থা রেখেই তাদের দল লড়াই করবে। স্বাভাবিক ভাবেই নিতিশ কুমারকে পাত্তা না দিয়ে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রাখার কথা শোনালো রামবিলাস পাসোয়ানের দল, তাতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমার এনডিএ ত্যাগ করে আরজেডির সঙ্গে জোট করে জয়ী হয়েছিলেন‌। পরবর্তীতে সেই জোট ভেঙে আবার এনডিএতে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। যার ফলে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে এনডিএ বিহারে ক্ষমতায় আসে। একাংশ বলছেন, প্রথমবার যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী, তখন তা নীতীশ কুমারের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে লোকসভায় জয়ের পর পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে পড়ে। জিথনরাম মাঞ্জিকে মুখ্যমন্ত্রী করেন নীতীশ কুমার। পরবর্তীতে সেই জিতনরাম মাঞ্জির সঙ্গে তার বিরোধিতার ফলে নিজে মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। যার পরবর্তীতে আবার এনডিএতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন সেই নীতীশ কুমার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুললেও বিহার রাজনীতির ক্ষেত্রে লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে সেই নীতীশ কুমারের তীব্র ফাটল প্রকাশ্যে চলে আসে। আর তারপর থেকেই আরজেডি বনাম জেডিইউয়ের লড়াই শুরু হয়। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে এনডিএ একত্রিত হয়ে লড়লেও সেখানে বিজেপি কতগুলো আসনে লড়বে এবং জেডিইউকে কত আসন ছাড়া হবে, তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। আর এরই মাঝে যেভাবে রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির জন্য 25 টি আসন ছাড়া হল, তাতে তারা নীতীশ কুমারের বদলে বেশি করে নরেন্দ্র মোদির নাম নিতে শুরু করেছে।

আর এর ফলেই একাংশ মনে করছেন যে, বিজেপি এবং জেডিইউয়ের মধ্যে আসন নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও, নীতীশ কুমারের দলের প্রতি চাপ বাড়িয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে রামবিলাস পাসোয়ানের দল জেডিইউকে পরবর্তীতে সমস্যায় ফেলতে পারে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!