এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধানসভার আগে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মোড়! সংখ্যালঘু সমীকরণ নিয়ে কৈলাশ-ত্বহা সিদ্দিকী আলোচনা!

বিধানসভার আগে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মোড়! সংখ্যালঘু সমীকরণ নিয়ে কৈলাশ-ত্বহা সিদ্দিকী আলোচনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ইতিমধ্যেই ব্লুপ্রিন্ট সাজাতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কোন বিধানসভা কেন্দ্রে কিভাবে জয় আসবে, তার ব্যাপারে সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছে তারা। কিন্তু বাংলায় বিজেপির সমর্থন পাওয়ার পেছনে সবথেকে বড় কাটা সংখ্যালঘু ভোট। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব আশঙ্কা করছে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত 75 থেকে 100 টি আসনে তাদের হিন্দুত্ববাদী তকমা তাদের বিপদে ফেলতে পারে।

কারণ এই আসনগুলিতে বাংলাভাষী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমর্থনের ওপরেই কি হতে চলেছে তা নির্ভর করে। ফলে এনআরসি সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিজেপির ভাবমূর্তি বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে খুব একটা ভালো নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত আসলে নিজেদের দল নিশ্চিত করতে এবার ময়দানে নেমে পড়লেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। যেখানে ত্বহা সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরে তার সহযোগিতা এবং শুভেচ্ছার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি দ্রুত যাতে ত্বহা সিদ্দিকী দিল্লি আসেন, তার জন্যেও তাকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এভাবে সংখ্যালঘু বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে যেভাবে বাংলায় ভালো ফল করার জন্য ত্বহা সিদ্দিকীর সমর্থন পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল, তাতে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বিজেপি নেতাদের একাংশ বলছেন, একসময় বামেদের দখলে ছিল বাংলার এই সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক। কিন্তু 2008 থেকে শুরু করে 2011 সাল পর্যন্ত তা তৃণমূলের দিকে যেতে শুরু করেছে। যার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ত্বহা সিদ্দিকীর।

তাই এবারে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যালঘু ভোটের কারণে যাতে পিছিয়ে যেতে না হয়, তার জন্য ফুরফুরা শরীফের সিদ্দিকী সাহেবকে নিজেদের দিকে টানতে উদ্যোগী হয়েছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের 294 টি বিধানসভা আসনের মধ্যে 60 থেকে 80 টি বিধানসভা আসন এই মুসলিম সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়াও আরও 30 টি আসন তাদের কিছুটা হলেও প্রভাব রয়েছে। ফলে এই আসনগুলো যদি বিজেপিকে রাখতে হয়, তাহলে সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতে হবে তাদের। আর তাই সেই সমস্ত বিষয়ের ওপর নির্ভর করেই এবার ত্বহা সিদ্দিকীর মত সংখ্যালঘু মুখের দ্বারস্থ হতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এখানেই একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। কেননা বারেবারে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি সংখ্যালঘু বিদ্বেষী দল হিসেবে পরিচিত। বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সেদিক থেকে ত্বহা সিদ্দিকীর কাছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা প্রস্তাব দিলেও, বাকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের দিকে তাকিয়ে ত্বহা সিদ্দিকী কি এতদিন ধরে যে বিজেপির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু বিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছিল, সেই বিজেপির হাত ধরবেন?

তাহলে কি তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্যান্য মানুষেরা? জানা গেছে, বিজেপির তরফ থেকে প্রস্তাব পাওয়া গেলেও এখনই এই ব্যাপারে বিজেপির প্রতি সুর নরম করতে নারাজ ত্বহা সিদ্দিকী। তৃণমূল থেকে বিজেপি প্রতিটি দলকেই সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যা দিচ্ছেন তিনি। এদিন সিদ্দিকী সাহেব বলেন, “বিজেপি একা সাম্প্রদায়িক এমনটা তো নয়। কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যেও সাম্প্রদায়িক অংশে রয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক অংশের বিরুদ্ধে আমরা সরব হব।”

স্বভাবতই যদি ত্বহা সিদ্দিকী কোনো রাজনৈতিক দলের ডাকে সাড়া না দিয়ে নিজেদের মত করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে তা যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই ব্যাপক চিন্তার কারন হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র প্রস্তাবে ত্বহা সিদ্দিকী সাড়া দেন কিনা, কোন দিকে এগোয় রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের ভবিষ্যৎ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!