এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিধানসভার লক্ষ্যে বঙ্গ রাজনীতিতে মুকুল রায়কে ঠিক কিভাবে ব্যবহার করবে বিজেপি? চলছে জল্পনা

বিধানসভার লক্ষ্যে বঙ্গ রাজনীতিতে মুকুল রায়কে ঠিক কিভাবে ব্যবহার করবে বিজেপি? চলছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রায় তিন বছর বিজেপিতে ঘর করার পর অবশেষে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মুকুল রায়। আর দায়িত্ব পাওয়ার পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। তিনি বলেন, “সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে আমাকে বিজেপি গুরুদায়িত্ব দিয়েছে। আমি তার জন্য নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাকে ঠিক কি করতে হবে, তা দলের তরফে জানানো হয়নি। তবে যেহেতু আমি বাংলার ছেলে, তাই এখানে কোনো বিশেষ দায়িত্ব দিলে ভালই হবে।” অর্থাৎ এককালে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পর থেকেই চেষ্টা করেছেন, কি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়া যায়! সামনে যখন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন, তখন মুকুল রায়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটা অস্তিত্বের লড়াই তৈরি হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাই এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও, যেহেতু বাংলার মাটিতে তার প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে নিজেকে প্রমাণ করার, তাই সেক্ষেত্রে বিজেপি আগামী দিনে বাংলার জন্য মুকুল রায়কে কোনো গুরুদায়িত্ব দেবে কিনা, তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। বিজেপির একটি অংশ বলছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই মুকুল রায়কে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে। কেননা এরাজ্যে দিলীপ ঘোষ সভাপতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে মুকুল রায়ের স্ট্র্যাটেজি মেনে ভোট করে যদি বিজেপিকে সাফল্য পেতে হয়, তাহলে মুকুলবাবুকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দিতেই হবে। তাই তাকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির জায়গা দিয়ে আদতে বাংলার জন্য বাড়তি দায়িত্ব চাপিয়ে দিতে পারে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে মনে করছেন একাংশ।

অন্যদিকে বিজেপির অপর একটি অংশ বলছেন, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরএসএসের দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত। কর্মীদের চাঙ্গা করার এক অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। সেদিক থেকে দিলীপ ঘোষের মত ব্যক্তিত্বকে যেমন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রয়োজন, ঠিক তেমনই প্রয়োজন মুকুল রায়ের মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। কেননা মুকুলবাবুর ভোট করার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, কিভাবে ভোট করলে সাফল্য আসতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই আগামী দিন যখন বিজেপির কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে, তখন একদিকে মুকুল রায়কে গুরু দায়িত্ব দিয়ে দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে দুইজনের মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বলা বাহুল্য, সাম্প্রতিককালে দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বলে বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে সেই গুঞ্জনকে একপ্রকার বন্ধ করে দিতেই মুকুল রায়কে দায়িত্ব দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যৌথ দায়িত্বের মধ্যে দিয়ে আগামীদিনে বাংলায় সাফল্য আসবে বলে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করে মুকুল রায়কে কিছুটা বাংলা থেকে বের করে সারা ভারত পরিক্রমা করার সুযোগ দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কেননা এই মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষ যদি একসাথে এক রাজ্যে বেশি করে নাক গলান, তাহলে বিজেপির অভিষ্ট লক্ষ্য যেমন পূরণ হবে না, ঠিক তেমনই বাংলার মাটিতে দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তাই মুকুলবাবুর মত অভিজ্ঞ নেতাকে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যেমন বিজেপি কাজে লাগাবে, ঠিক তেমনই তাকে সর্বভারতীয় স্তরে দায়িত্ব দিয়ে অন্যান্য রাজ্যেও কাজে লাগানোর জন্যই বিজেপির এই সূক্ষ্ম পরিকল্পনা বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

কিন্তু তাকে কি কোনো বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার কথা দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, “সর্বভারতীয় স্তরে দায়িত্ব পেলেও নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব পাইনি। দল যেখানে যা দায়িত্ব দেবে, তা পালন করব।” সব মিলিয়ে এবার মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হলেও, বাংলার জন্য তাকে কোনো বিশেষ দায়িত্বে বসানো হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!