বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপির ঘুম একযোগে ওড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ অধীরের! আরও টানটান রাজ্য রাজনীতি! কংগ্রেস রাজনীতি রাজ্য October 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বাম ও কংগ্রেস সম্পূর্ণ ভাবে বিধ্বস্ত হয়। এরপর আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভালো ফল লাভের চেষ্টায় জোটবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাম ও কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রয়াত সোমেন মিত্র এই জোটের পরিকল্পনা করেছিলেন, এরপর কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদের দায়িত্ব নেবার পর থেকেই জোটের কাজকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যান ও কংগ্রেস দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে শুরু করেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে দলের বেশকিছু রদবদল ঘটালেন তিনি। দলকে সতেজ করে, জোট বদ্ধ করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবার প্রচেষ্টায় আছেন তিনি। আগামী বিধানসভা নির্বাচন দলের সাংগঠনিক শক্তিকে মজবুত করতে প্রদেশ কংগ্রেসে ব্যাপক রদবদল করা হলো। এর পর নতুন করে জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হলো বেশকিছু নবীন ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে। এর ফলে আবার দলের মধ্যে কোন অন্তর্দ্বন্দ্ব, বিরোধ, মতান্তর যাতে না ঘটে সেদিকেও দৃষ্টি দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। নবীন ও প্রবীণ নেতাদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হলো বিশেষভাবে। প্রসঙ্গত বিধানসভার বিরোধীদলের সচেতক ও বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে সংগঠন ও প্রশাসনের দায়িত্ব দেয়া হল। সেই সঙ্গে তাঁকে নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষক করা হলো। তবে বর্তমানে হাড়ের সমস্যায় যথেষ্টভাবে আক্রান্ত আছেন মনোজ চক্রবর্তী। তাই এতোটা দায়িত্বভার তিনি কিভাবে পালন করবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গতকাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের জেলা পর্যবেক্ষকদের এক নতুন তালিকাতে সম্মতি দিলেন। যে তালিকাতে পুরনো কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের মধ্যে দেবপ্রসাদ রায়কে কোচবিহার, মায়া ঘোষকে পশ্চিম মেদিনীপুর, কৃষ্ণা দেবনাথকে হুগলি, শুভঙ্কর সরকারকে পূর্ব মেদিনীপুর, সর্দার আমজাদ আলিকে উত্তর ২৪ পরগনা (শহরাঞ্চল), নেপাল মাহাতোকে ঝাড়গ্রাম ও মইনুল হককে মালদহের দায়িত্ব দেওয়া হল। অন্যদিকে, গতকালের এই তালিকায় কংগ্রেসের তরুণ নেতাদের মধ্যে রোহন মিত্রকে বাঁকুড়া, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়কে দক্ষিণ ২৪ পরগনা-২, আব্দুস সাত্তারকে উত্তর ২৪ পরগনা (গ্রামীণ), ঋজু ঘোষালকে হাওড়া, মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্ব দেওয়া হলো। আবার, অধীর চৌধুরীর নিজের গড় মুর্শিদাবাদ জেলায় জেলা ও কংগ্রেস সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তথা মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক করা হলো কলকাতার যুব নেত্রী সাইনা জাভেদকে। অন্যদিকে মধ্য কলকাতার পর্যবেক্ষক করা হলো মুর্শিদাবাদের কান্দির বিধায়ক সইফুল (বনু) আলম খানকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এভাবেই দলে নতুন করে রদবদল ঘটিয়ে ও জেলা পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যমাত্রা নিলেন অধীর চৌধুরী। সিপিএমের সঙ্গে সঙ্গে জোট করে বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে চাইছে কংগ্রেস। এদিকে অধীর চৌধুরী একদিকে যেমন দাপুটে কংগ্রেস নেতা, অন্যদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রবল বিরোধী মুখ হিসেবেও যথেষ্ট ভাবে পরিচিত তিনি। এ কারণেই তাঁকে জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে নির্বাচনে লড়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে মধ্যে গেরুয়া ও সবুজ ঝড়েও যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে জয়লাভ করেছিলেন অধীর চৌধুরী। সোনিয়া গান্ধীর তিনি অত্যন্ত কাছের মানুষ, লোকসভার বিরোধী দলনেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। আবার এর সঙ্গে সঙ্গেই সোমেন বাবুর মৃত্যুর পর তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়েছে। তাঁর এই দায়িত্ব লাভের পর থেকেই কংগ্রেস দলে বিশেষ প্রাণ চঞ্চলতা দেখা দিয়েছে। তাঁর মতো দাপুটে নেতা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেবার পর থেকেই কংগ্রেস দলের যথেষ্ট রকম প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। দলকে ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃংখল করবার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে দলকে শক্তিশালী করার কাজে নেমে পড়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আপনার মতামত জানান -