এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিধানসভা ভোটের আগে কি ‘অসাংবিধানিক’ কাজ করে ফেললেন মমতা? বিরোধীদের চাপে উড়তে চলেছে ঘুম?

বিধানসভা ভোটের আগে কি ‘অসাংবিধানিক’ কাজ করে ফেললেন মমতা? বিরোধীদের চাপে উড়তে চলেছে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এই বছরের প্রথম বিধানসভার অধিবেশন দুদিনের জন্য চালু হয়েছিল। যেখানে অধিবেশনের শুরুতেই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনতে শুরু করল বিরোধীরা। মূলত নতুন বছরে অধিবেশন ডাকেন রাজ্যপাল। কিন্তু তার আগে অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করতে হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তা করা হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনাকে রাজ্যপাল এবং বিরোধীদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করল বাম এবং কংগ্রেস।

যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এমনিতেই শাসক শিবিরকে চেপে ধরেছে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যদিকে বিজেপি এবং তৃণমূলকে চাপে ফেলতে জোট করে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে বাম এবং কংগ্রেস। তাই এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে না হতেই এবার তৃণমূলকে ব্যাপকভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা করল এই দুই রাজনৈতিক দল বলে মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার থেকে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবার জন্য দুদিনের রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে। প্রথম দিন শোক প্রস্তাব পেশ করার পর মুলতবি করে দেওয়া হয়। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুটি বিল এবং কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হওয়ার কথা। তবে এই পরিস্থিতিতে অধিবেশনকে অসম্মান করছে সরকার পক্ষ অভিযোগ করল বাম এবং কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন এই অভিযোগ করা হল? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী নতুন বছরে কোনো অধিবেশন ডাকতে হলে আগের অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করতে হয়। এরপর রাজ্যপালের বক্তৃতা দিয়ে পরবর্তী অধিবেশনের সূচনা করতে হয়। এক্ষেত্রে তা না করে আগের অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক। বিষয়টি নিয়ে আমরা লোকসভার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হব।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সরকার পক্ষের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যপাল এবং বিরোধীদের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে।” একাংশ বলছেন, বাম এবং কংগ্রেসের বিরোধিতা তো আছেই। তার মধ্যে মাঝেমধ্যেই রাজ্যপালের পক্ষ থেকে নানা বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তাই এই পরিস্থিতিতে বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিধানসভার রীতি ভাঙ্গার যে অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে তোলা হল, তাতে রাজ্যপাল এবার মুখ খুলতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে দু তরফ থেকে রাজ্য সরকার তীব্র চাপের মুখে পড়তে পারে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!