এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিধানসভা ভোটের মুখে বড়সড় পরিবর্তন বিজেপিতে, সরতে হল পদাধিকারীদের, বাড়ছে ক্ষোভ!

বিধানসভা ভোটের মুখে বড়সড় পরিবর্তন বিজেপিতে, সরতে হল পদাধিকারীদের, বাড়ছে ক্ষোভ!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ব্যাপক রদবদল অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় জনতা পার্টিতে। এবার নদীয়া জেলায় বিজেপির নয়জন মন্ডল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হল। যাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দর মহলে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। একাংশ বলছেন, দলের প্রাক্তন সভাপতিকে কোণঠাসা করতেই বর্তমান গোষ্ঠী এই রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের ক্ষতি করতে শুরু করেছে।

আর নজন মন্ডল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এখন বিজেপির অন্দরমহলে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। অনেকে বলছেন, যে নয়জন মন্ডল সভাপতিকে সরানো হয়েছে, তারা প্রাক্তন জেলা সভাপতি মহাদেব সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ফলে মহাদেববাবুর অনুগামীদের কোণঠাসা করতে বর্তমান সভাপতি আশুতোষ পাল এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ একাংশের।

উল্লেখ্য, 2018 সালের জানুয়ারি মাসে নদীয়া জেলা কমিটি ভেঙে তা উত্তর এবং দক্ষিণে ভাগ করা হয়। যেখানে জেলা সভাপতি হিসেবে আশুতোষ পালকে সরিয়ে উত্তরের সভাপতি করা হয় মহাদেব সরকারকে এবং দক্ষিনে দায়িত্ব দেওয়া হয় জগন্নাথ সরকারকে। আর এরপরই মহাদেববাবু নিজের মত করে সংগঠন পরিচালনা করতে শুরু করেন। যেখানে মহাদেববাবুকে বিজেপি সরিয়ে দেওয়ার কিছুদিন আগে তিনি 13 জন মন্ডল সভাপতি পরিবর্তন করেন।

জানা যায়, 35 জন মণ্ডল সভাপতির মধ্যে 28 জন মহাদেববাবুর অনুগামী ছিলেন। কিন্তু 2019 সালের ডিসেম্বর মাসে সেই উত্তরের দায়িত্ব থেকে মহাদেববাবুকে সরিয়ে দেওয়ার পর সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয় আশুতোষ পালকে। আর এরপরই নিজের মতো করে সংগঠন সাজাতে শুরু করেন তিনি। আর এবার নয়টি মন্ডল সভাপতিকে সরিয়ে দিয়ে আশুতোষবাবু নিজের হাতে সংগঠনের ক্ষমতা রাখতে চাইলেন বলেই দাবি করা হচ্ছে। অর্থাৎ এর ফলে আশুতোষবাবু প্রাক্তন সভাপতি মহাদেববাবুর গোষ্ঠীকে কাবু করতে উদ্যত হলেন বলেই দাবি একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই যে সমস্ত মন্ডল সভাপতিকে সরানো হয়েছে, তাদের গলায় শোনা গেছে উস্মার সুর। এদিন এই প্রসঙ্গে সদ্য অপসারিত শংকর গোস্বামী বলেন, “দিন কয়েক আগে 58 জন বুথ সভাপতি আমায় নির্বাচিত করেছেন। বিগত নির্বাচনে দল অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে। কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তারপরেও কেন আমায় সরিয়ে দেওয়া হল, বুঝতে পারছি না।” অন্যদিকে আরেক অপসারিত মন্ডল সভাপতি পিন্টু ঘোষ বলেন, “অবাক লাগছে। তবে শেষপর্যন্ত আমি দলের অনুগত সৈনিক।” তাহলে কি তার অনুগামীদের দায়িত্বকে নিয়ে আশুতোষবাবু নিজের মত করে বিস্তার লাভ করতে শুরু করলেন! তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল!

এদিন এই প্রসঙ্গে মহাদেব সরকার বলেন, “এটা দলের সাংগঠনিক বিষয়। আমি সংবাদমাধ্যমে কেন বলতে যাব!” তবে মন্ডল সভাপতি পরিবর্তনের এই ব্যাপারে বর্তমান সভাপতি আশুতোষ পাল বলেন, “আপনারা ভুল ব্যাখ্যা করছেন। মন্ডলে যারা ভালো কাজ করেন, তাদের জেলার সংগঠনে নিয়ে আসা হয়। এক্ষেত্রে তাই হবে। তাদের জায়গায় সেইসব মন্ডলের সক্রিয় এবং দূরদর্শী নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

তবে মুখে আশুতোষবাবু যায় কথাই বলুন না কেন, তার সঙ্গে মহাদেববাবু সম্পর্কের অবনতি এবং বিভিন্ন জায়গায় সেই মহাদেবপবাবুর অনুগামীরা মন্ডল সভাপতি থাকার কারণেই তাদের সরিয়ে দেওয়া হল বলে দাবি করছেন একাংশ। তবে এই রদবদলের ফলে নদীয়া জেলা বিজেপির অন্দরমহলে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। যার ফলে বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!