প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2014 সালের পর 2019 সালে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। নরেন্দ্র মোদির একক জাদুতে বিরোধীদের মাত করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে সারাদেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা দখল করলেও, বিহারে এতদিন জোট শরিকদের সঙ্গে ক্ষমতা ভোগ করতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে বাংলাতে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে এবার সেই রাজ্য দখল করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর বাংলা এবং বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি আরও বেশি করে জনমানসের মনে প্রবেশ করতে তৎপর হয়ে উঠেছে।

সূত্রের খবর, এবার এই দুই রাজ্যের মানুষের মন জয় করতে নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। এদিন ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে পশুপালক এবং মৎস্যজীবীদের জন্য নতুন প্রকল্প এবং নতুন অ্যাপের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কি এই প্রকল্প? এর মাধ্যমে মানুষ কতটা সুবিধা লাভ করবে? জানা গেছে, এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য মৎস্য চাষের সার্বিক উন্নয়ন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে 20 হাজার 50 কোটি টাকা।

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এই প্রকল্প থেকে মাছ চাষ ও বিপণনের সঙ্গে যুক্ত সকলেই সুবিধা পাবেন। আমাদের লক্ষ্য আগামী তিন চার বছরের মধ্যে উৎপাদন দ্বিগুণ করা।” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, শুধু কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করেই বিজেপি সারা রাজ্যে তাদের বিস্তৃতি লাভ করতে পারবে না। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে তাদের সরকার রয়েছে।

তবে বিহারে যেমন তাদের আরও বেশি করে জনমত পাওয়া জরুরি, ঠিক তেমনই সামনে আসছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই সেখানেও বিজেপিকে ক্ষমতা দখলের জন্য আরও বেশি করে উদ্যোগী হতে হবে। তাই এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাধারন মানুষের মনে নিজেদের ভাবমূর্তি আরও স্বচ্ছ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ভার্চুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, আগামী 23 শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিহারে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। যা দেখে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছেন, বর্তমানে লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকটাই ভুগতে হয়েছে। যার ফলে বিহারের সরকারের ওপর অনেকটাই ক্ষুব্ধ সেখানকার জনসাধারণ‌। তাই বিরোধীরা যাতে ভোটের বাক্সে এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান শাসকদল এনডিএকে চাপে ফেলতে না পারে, তার জন্যই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই বড়সড় প্রকল্প দিয়ে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা হচ্ছে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এখন বিহার এবং বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বড় প্রকল্পের সূচনায় সেখানকার ভোটবাক্সে বিজেপি কতটা লাভবান হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।