এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধানসভায় এই বিল পাস হলেই ভেঙে খানখান হয়ে যাবে বিরোধীরা! আশঙ্কায় প্রহর গোনা শুরু!

বিধানসভায় এই বিল পাস হলেই ভেঙে খানখান হয়ে যাবে বিরোধীরা! আশঙ্কায় প্রহর গোনা শুরু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2011 সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সময় তা পূর্ণ হয়নি। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রার্থী ঘোষণার দিনেই পরবর্তীতে বিধান পরিষদ গঠন করে যাদের প্রার্থী করা হল না, তাদেরকে জায়গা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজের একের পর এক দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

আর এবার বিধান পরিষদ গঠনের দিকে একধাপ এগিয়ে যেতে চলেছে রাজ্যের শাসক শিবির। জানা গিয়েছে, চলতি অধিবেশনেই বিধানসভাতে বিধান পরিষদ নিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করা হবে। এদিকে বিধান পরিষদ গঠনের ব্যাপারে যদি তৃণমূল সরকার সাফল্য পায়, তাহলে রাজ্যে যতটুকু বিরোধী শক্তি আছে, সেটাও ভেঙে খান খান হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, এবারে রাজ্য বিধানসভায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপি রয়েছে। সেদিক থেকে বাম এবং কংগ্রেস কার্যত শূন্য। তাদের কোনো প্রতিনিধি এবার রাজ্য বিধানসভায় নেই। তবে বিরোধী দলের জায়গা বিজেপি দখল করলেও, তাদের মধ্যে অনেক নেতা বেসুরো শুরু হতে শুরু করেছেন। শাসকদল তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর অনেকেই আবার তৃণমূলে ফেরার রাস্তা খুঁজছেন। আর এই পরিস্থিতিতে যদি বিধানসভায় বিধান পরিষদের প্রস্তাব পাস হয়ে যাওয়ার পর সংসদেও তা পাশ হয়ে যায় এবং রাজ্যে লাগু হয় বিধান পরিষদ, তাহলে বিরোধীদের চাপ বাড়তে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, এক্ষেত্রে বিধান পরিষদে মানুষের ভোটে জয়লাভের কোনো ব্যাপার নেই। যারা বিধান পরিষদের প্রতিনিধি হবেন, তাদের বিধায়কের সম-মর্যাদা সম্পন্ন গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে থেকে অনেকেই মন্ত্রী হতে পারেন। তাই এই পরিস্থিতিতে বিধান পরিষদের নিয়ম যদি পশ্চিমবঙ্গে লাগু হয়ে যায়, তাহলে বিরোধীদের অনেকেই গুরুত্ব পাওয়ার জন্য শাসক শিবিরে নাম লিখিয়ে বিধান পরিষদের প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ খুজতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই বাম এবং কংগ্রেস যতটা রাজ্যে আছে, বিধান পরিষদ গঠন হওয়ার পর তাদের ঘর কার্যত শূন্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিজেপি থেকে অনেকে বিধান পরিষদের প্রতিনিধি হওয়ার জন্য শাসক শিবিরের পতাকা তলে চলে আসতে পারেন বলেই দাবি করছেন একাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও রাজ্যে বিধান পরিষদ ছিল। কিন্তু সময়ের নিয়মে তা তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে গোটা দেশের ছয়টি রাজ্যে বিধান পরিষদ রয়েছে। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গেও তা ফিরিয়ে আনার জন্য তৎপরতা অবলম্বন করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই নিয়ে বিস্তর সময় লাগতে পারে। কিন্তু বিধান পরিষদ গঠনের ব্যাপারে শাসক দলের পক্ষ থেকে তোড়জোড় শুরু হতেই বিরোধীদের অন্দরমহলে ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।যা নিয়ে বিরোধী নেতারা রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। বিধান পরিষদ যদি গঠন হয়ে যায়, তাহলে তাদের দলে ভাঙন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শূন্য বাম- কংগ্রেস থেকে শুরু করে “74”-এর বিজেপির মধ্যে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!