এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > বিধানসভায় শূন্যে নেমেও শান্তি নেই! এবার একের পর এক প্রভাবশালী বামনেতার দলত্যাগ শুরু!

বিধানসভায় শূন্যে নেমেও শান্তি নেই! এবার একের পর এক প্রভাবশালী বামনেতার দলত্যাগ শুরু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 হোক বা 2016, সারা রাজ্যে বামেরা খারাপ ফল করলেও, শিলিগুড়ি শহরে বামেদের দুর্গ এবং আধিপত্য মজবুত রেখেছিলেন অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। তৃণমূল হোক বা গেরুয়া ঝড়, প্রতি সময় কাস্তে হাতুড়ির পতাকাকে মর্যাদা দিয়ে জয়লাভ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। যার কারণে লোকসভা বা বিধানসভায় বামেরা বিপুল ভোটে বিভিন্ন জায়গায় পরাজিত হলেও, শিলিগুড়ি তাদের মুখ রক্ষা করেছিল। কিন্তু 2021 এর বিধানসভা যেন সেই শিলিগুড়ি নিয়ে বামেদের স্বস্তি তো দূরের কথা, বরং অস্বস্তি এবং বিরক্তিভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

এবারে এমনিতেই বামেরা সারা রাজ্যজুড়ে একটি বিধানসভাতেও দাগ কাটতে পারেনি। এই প্রথম কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে জোট করেও একজন প্রতিনিধি রাজ্য বিধানসভায় পাঠাতে পারেনি বামফ্রন্ট। একই অবস্থা হয়েছে কংগ্রেসের। তবে কিছুটা নিজেদের অবস্থার উন্নতি করে আইএসএফ প্রথম নির্বাচনী লড়াই করে একজন প্রতিনিধি বিধানসভায় পাঠাতে পেরেছে। তবে সারা রাজ্যে বা শিলিগুড়িতে বামফ্রন্টের ভরাডুবির পর তারা নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেই আশা করা হয়েছিল।

আর শিলিগুড়িতে বামফ্রন্টের ভরাডুবি হতে না হতেই এবার শিলিগুড়ি পৌরসভায় প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র এবং প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। যা ভোটে পরাজিত হওয়ার পর বামফ্রন্টের কাছে আরও অস্বস্তির কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।বিধানসভায় শূন্যে নেমেও শান্তি নেই! এবার একের পর এক প্রভাবশালী বামনেতার দলত্যাগ শুরু!

2011 হোক বা 2016, সারা রাজ্যে বামেরা খারাপ ফল করলেও, শিলিগুড়ি শহরে বামেদের দুর্গ এবং আধিপত্য মজবুত রেখেছিলেন অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। তৃণমূল হোক বা গেরুয়া ঝড়, প্রতি সময় কাস্তে হাতুড়ির পতাকাকে মর্যাদা দিয়ে জয়লাভ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। যার কারণে লোকসভা বা বিধানসভায় বামেরা বিপুল ভোটে বিভিন্ন জায়গায় পরাজিত হলেও, শিলিগুড়ি তাদের মুখ রক্ষা করেছিল। কিন্তু 2021 এর বিধানসভা যেন সেই শিলিগুড়ি নিয়ে বামেদের স্বস্তি তো দূরের কথা, বরং অস্বস্তি এবং বিরক্তিভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

এবারে এমনিতেই বামেরা সারা রাজ্যজুড়ে একটি বিধানসভাতেও দাগ কাটতে পারেনি। এই প্রথম কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে জোট করেও একজন প্রতিনিধি রাজ্য বিধানসভায় পাঠাতে পারেনি বামফ্রন্ট। একই অবস্থা হয়েছে কংগ্রেসের। তবে কিছুটা নিজেদের অবস্থার উন্নতি করে আইএসএফ প্রথম নির্বাচনী লড়াই করে একজন প্রতিনিধি বিধানসভায় পাঠাতে পেরেছে।

তবে সারা রাজ্যে বা শিলিগুড়িতে বামফ্রন্টের ভরাডুবির পর তারা নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেই আশা করা হয়েছিল। আর শিলিগুড়িতে বামফ্রন্টের ভরাডুবি হতে না হতেই এবার শিলিগুড়ি পৌরসভায় প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র এবং প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। যা ভোটে পরাজিত হওয়ার পর বামফ্রন্টের কাছে আরও অস্বস্তির কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো এবং মেয়র পরিষদ সদস্য কমল আগরওয়াল। জানা গেছে, রামভজনবাবু আরএসপির দার্জিলিং জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। অন্যদিকে কমল আগরওয়াল ছিলেন সিপিএমের শিলিগুড়ি জোনাল কমিটির সদস্য।

যেভাবে এই শিলিগুড়ি বামেদের দখলে ছিল, তাতে অশোক ভট্টাচার্য পরাজিত হওয়ার সাথে সাথেই সেখানে ফাটল ধরতে শুরু করল। দুই হেভিওয়েট নেতাকে যেভাবে তৃণমূল নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে সক্ষম হল, তাতে ভবিষ্যতে এখানে সিপিএম কতটা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনেকে বলছেন, দলের অন্দরে শিলিগুড়ি বামফ্রন্টের কাছে মুখ দেখানোর অন্যতম অস্ত্র ছিল। কিন্তু এবার সেখানেও পরাজিত হয়ে যাওয়ার কারণে দল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। এমনিতেই বিধানসভাতে এবার বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি যায়নি। আর তার মধ্যে এবার যেভাবে শিলিগুড়ির মত বামেদের শক্ত ঘাঁটি নামতে শুরু করল এবং হেভিওয়েট নেতা যোগ দিতে শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে, তাতে এই ভাঙ্গন আটকানো এখন সিপিএম তথা বামেদের পক্ষে কতটা সম্ভব, তা নিয়েই দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে চর্চা। এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেবের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন এই দুই বামপন্থী নেতা।

কিন্তু হঠাৎ করে কি এমন হল, যার কারণে তারা দীর্ঘদিন মতাদর্শ নিয়ে বামফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, হঠাৎ করে দল পরিবর্তন করলেন? তাহলে কি শিলিগুড়ি শহরে বামেদের ভরাডুবি হওয়ার কারণেই এখন তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে রামভজন মাহাতো বলেন, “বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার লড়াই এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে আকৃষ্ট হয়ে এই দল পরিবর্তন করলাম।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কমল আগরওয়াল বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবারের নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।” এদিকে দীর্ঘদিন 2011 বা 2016 সালে তারা শিলিগুড়ি শহর দখলে রাখতে না পারলেও, এবার সেখানে পরাজিত হয়েছে বামফ্রন্ট‌। তবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। এবারেও শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র জয়লাভ করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বামেদের অশোক ভট্টাচার্য পরাজিত হয়ে যাওয়ার পর যেভাবে সেই বামেদের দুই হেভিওয়েট নেতা তাদের দলে যোগ দিলেন, তাতে অনেকটাই উজ্জীবিত তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে দুই নেতাকে নিজেদের দলে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, “রামভজন এবং কমল দুজনেই শহরে সুপরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে শরিক হওয়ার জন্য তারা আবেদন করেছিলেন। দুজনকেই দলে স্বাগত জানাচ্ছি।” আর এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মূল আলোচনার বিষয় শুরু হয়েছে বামফ্রন্টকে নিয়ে। বামেদের হেভিওয়েট নেতা অশোক ভট্টাচার্য পরাজিত হয়ে গেলেও শিলিগুড়ি শহর নিয়ে বামপন্থীরা যে কিছুটা হলেও উদ্যত হবে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত ছিল বিশেষজ্ঞদের কাছে।

কিন্তু এত বড় শক্ত ঘাঁটিতে দাগ না কাটতে পেরেও কর্মী থেকে সমর্থক এবং হেভিওয়েট নেতা দল পরিবর্তন করার সময়কালেও সেভাবে গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হতে দেখা যাচ্ছে না বাম শিবিরকে। যার ফলে বিধানসভায় প্রতিনিধি না যাওয়ার পর এবার যদি নিজেদের শক্ত ঘাঁটিগুলোর দিকেও নজর না দেয় বামেরা, তাহলে তা যে তাদের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তি এবং বিড়ম্বনার কারণ হিসেবে দেখা দেবে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!