এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধানসভায় টিকিট পাওয়া যাবে না, এমন করব যাতে কেউ জিততে না পারে! তৃণমূল নেতার বিতর্কিত পোস্ট

বিধানসভায় টিকিট পাওয়া যাবে না, এমন করব যাতে কেউ জিততে না পারে! তৃণমূল নেতার বিতর্কিত পোস্ট


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে এমনিতেই জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। শুক্রবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাসকে। যেখানে তার কিছু মন্তব্য নিঃসন্দেহে বিধানসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তিতে ফেলে দিল ঘাসফুল শিবিরকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূলের পার্থপ্রতিম দাস ফেসবুকে লেখেন, “আমার যখন বিধানসভাতে আর টিকিট পাওয়া হবে না, তখন এমন পরিবেশ তৈরি করব, যাতে আর কেউ জিততে না পারে। খেজুরি অঞ্চল থেকে অটল প্রধান মহাশয়কে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভগবানের নিকট প্রার্থনা করছি, এটা যেন দলের কাছে বুমেরাং না হয়।” একাংশ বলছেন, পার্থপ্রতিম দাস ফেসবুকে পোস্ট করে কার্যত খেজুরির বিধায়ক রনজিত মন্ডলকেই কটাক্ষ করলেন। যার ফলে মেদিনীপুরের রাজনীতিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কেন হঠাৎ এমন মন্তব্য করতে গেলেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই খেজুরি 2 ব্লকের খেজুরি অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি পদ থেকে অটল প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যেখানে বিধায়ক রনজিত মন্ডল নিজের ঘনিষ্ঠকে সেই জায়গায় বসিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। আর এর পরেই বিধায়কের সঙ্গে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। এদিন ফেসবুকে সেই ব্যাপারে সরব হয়ে তৃণমূলের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন এবং বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এর প্রভাব যে ভোটব্যাংকে কিছুটা হলেও পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন তিনি এই ভাবে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থপ্রতিম দাস বলেন, “অটলবাবুর সাংগঠনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে ওকে ব্লক সভাপতি করার প্রস্তাব জেলা নেতৃত্বকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই তাকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলেন বিধায়ক। এতে বিধানসভা ভোটের ফলাফল দলের কাছে যাতে বুমেরাং হয়ে না যায়, সেজন্য সতর্ক করতে সমাজ মাধ্যমে লিখেছি।”

যদিও বা এই ব্যাপারে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রনজিত মন্ডল। তিনি বলেন, “উনি ফেসবুকে কি লিখেছেন, তা নিজের চোখে দেখে মন্তব্য করব।” তবে যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই অটল প্রধান অবশ্য বলেন, “1977 সাল থেকে ডানপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন সামলাচ্ছি। তা সত্ত্বেও আমার সাংগঠনিক পদে কোনো লাভ নেই। কেউ ভালো মনে করেছেন বলে আমাকে সরিয়ে দিয়েছেন।” তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট হতে দেখা গেল, তাতে তৃণমূল নেতৃত্ব যে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!