এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিধানসভার আগেই তৃণমূলকে বহু পেছনে ফেলতে বিজেপি পর্যবেক্ষক- কার্যকর্তাদের বড়সড় পদক্ষেপ?

বিধানসভার আগেই তৃণমূলকে বহু পেছনে ফেলতে বিজেপি পর্যবেক্ষক- কার্যকর্তাদের বড়সড় পদক্ষেপ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির টার্গেট 2021 এ রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা। সেই মত করেই নানা পন্থা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। মানুষের সাথে জনসংযোগ থেকে শুরু করে তৃণমূলের ঘরে ভাঙন ধরানো, সমস্ত কাজ করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার কোচবিহারের বিভিন্ন বুথে রাত্রিবাস করতে শুরু করলেন বিজেপি জেলা পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে কার্য কর্তারা। জানা গেছে, গ্রামের কর্মীদের সাহস যোগানো এবং সংগঠনকে মজবুত করতেই নেতারা গ্রামে এখন রাত্রিবাস করতে শুরু করেছেন।

যার ফলে একদিকে যেমন জনসংযোগ হচ্ছে, ঠিক তেমনই এলাকার নেতাকর্মীদের সাহস যোগানো সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি করছেন একাংশ। বস্তুত, গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে বিজেপি অভূতপূর্ব ফলাফল করেছিল। কোচবিহার তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও, সেখানে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক। আর এরপর থেকেই বিজেপি এখানে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নানা পদ্ধতি গ্রহণ করতে শুরু করে। সামনে নির্বাচন। তাই তার আগে বুথে বুথে গিয়ে নেতারা রাত্রিবাস করে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের উপর সবথেকে বেশি জোর দিতে শুরু করেছেন। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এর ফলে সংগঠন অনেকটাই চাঙ্গা হবে।

বস্তুত, এই কোচবিহার জেলায় বিজেপির 2262 টি সাংগঠনিক বুথ রয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা 2100 টির বেশি কিছু বুথে তাদের কমিটি গঠন করার কাজ সম্পন্ন করেছে। তার পরিবার রাত্রিবাস করে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার কথা শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বদের গলায়। জানা গেছে, খুব তাড়াতাড়ি দলের বুথ সভাপতিদের বাড়ির সামনে তাদের নেমপ্লেট লাগিয়ে দেওয়া হবে। যেখানে মানুষ যাতে জানতে পারেন যে, এটা বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়ি।

অর্থাৎ মানুষের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের আত্মিক যোগাযোগ স্থাপন করতে বিজেপির পক্ষ থেকে এখন নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যা আগামী দিনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সমস্ত পদ্ধতি গ্রহণ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির অন্যতম পর্যবেক্ষক মানবেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের রাজত্বে আমাদের নিচুতলার কর্মীরা অনেকেই ভীত এবং সন্ত্রস্ত। তারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। গ্রামের কর্মীদের মধ্যে যে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে, সেটিকে দূর করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, “জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব, প্রাক্তন জেলা সভাপতি সহ আরও কিছু পদাধিকারীকে বুথে বুথে পাঠানো হচ্ছে। জেলা পদাধিকারীদের শক্তি কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিন দিনের একটি বুথভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে এই রকম কর্মসূচি নেওয়া হলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃনমূলের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “ওরা যেভাবে ইচ্ছে সবকিছু সাজাক। বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গেলেই পালিয়ে যাবে। তখন কারও বাড়িতে নেমপ্লেট থাকবে না। বন্যার সময় জলের সঙ্গে কচুরিপানা ভেসে আসে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল গোটা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা না করলেও, বিজেপি যেভাবে বুথের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে জনসংযোগকে হাতিয়ার করছে এবং রাত্রিবাসের মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাতে অনেকটাই চাপে পড়তে পারে শাসক দল। সব মিলিয়ে বিজেপি তাদের এই কর্মসূচিকে কতটা সাফল্য রূপদান করতে পারে এবং এর ফলে তৃণমূল কতটা চাপে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!