বিধানসভার আগে মমতার ঘুম উড়িয়ে ‘বহিরাগতের’ বদলে ‘ভূমিপুত্রদের’ টিকিটের দাবিতে আওয়াজ চড়ছে! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি November 30, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার সর্বত্র নেত্রী স্পষ্টতই বুঝে গিয়েছিলেন, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিম বাংলার মাটিতে যত সহজ ছিল রাজ্যের শাসক দলের পক্ষে, 2021 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ঠিক ততটাই কঠিন হতে যাচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু পরবর্তীতে প্রশান্ত কিশোরের মত নির্বাচনী পরামর্শদাতার পরামর্শে দল ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ কিছুটা চেষ্টা করলেও নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, পরিস্থিতি ততই ঘোরালো হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষে। একদিকে যেমন বিধায়ক থেকে শুরু করে হেভিওয়েট মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং দলত্যাগের সম্ভাবনা কাল ঘাম ছোটাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বের, অন্যদিকে তেমনই স্থানীয় সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। আর এইরকমই ঘটনার সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র। যেখানে ভূমিপুত্রকেই 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে দলের একাংশের মধ্যে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2011 সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে দুই বারই উক্ত কেন্দ্র থেকে বাইরে থেকে আসা প্রার্থীরা জয় যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু এইবার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে যেভাবে ভূমিপুত্রকে টিকিট দেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে, তাতে করে অনেকটাই অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল এবং জেলা নেতৃত্ব। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় প্রার্থীর দাবি করে ইতিমধ্যেই দলনেত্রীর কাছে দরবার করার প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন একাংশ নেতারা। স্থানীয় নেতৃত্বদের বক্তব্য, বর্তমানে ওই কেন্দ্রের বিধায়ক সেই ইদ্রিস আলী কলকাতার বাসিন্দা। এর আগে 2011 সালে যিনি বিধায়ক ছিলেন, সেই হায়দার আজিজ সাহেবও কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। তবে পরপর দুইবার দলের নির্দেশ মেনে বহিরাগত প্রার্থীকে ভোটে জয়যুক্ত করলেও, এই বারের নির্বাচনে স্থানীয় নেতাকর্মীরা সেই বিধানসভা কেন্দ্রের ভূমিপুত্র একজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছে। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে উলুবেরিয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি বেনু কুমার সেন বলেন, “আমরা 2011 সাল থেকে এই কেন্দ্রে বহিরাগত প্রার্থী পেয়েছি। কিন্তু এইবার আমরা দলের জেলা সভাপতির মাধ্যম দিয়ে দলনেত্রীর কাছে অনুরোধ করব, কোনো ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করা হোক।” যদিও তিনি বলেন, “দলনেত্রী যাকে প্রার্থী করবেন, তাকে মেনে নেওয়া হবে। আমরা শুধু আমাদের আবেগের কথা জানিয়েছি।” তবে যাকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই ইদ্রিস আলী সাহেবের বক্তব্য স্পষ্ট. তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের 294 টা আসনেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে বহিরাগত কোনো বিষয় নেই। আমরা সকলেই দলের সৈনিক।” কিন্তু বিরোধী গোষ্ঠীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বর্তমানে আমি উলুবেড়িয়া পৌরসভার 27 নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু ইদ্রিসবাবু যাই বলুন না কেন, বিতর্ক যে এত সহজে পিছু ছাড়বে না, তা স্পষ্ট হয়ে যায় উলুবেড়িয়ার তৃণমূল সভাপতি বেনুবাবুর কথায়। তিনি বলেন, “ইদ্রিসবাবু 27 নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হলেও তিনি থাকেন কলকাতাতে।” কাজেই দুইজনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার, বিধানসভা ভোটের দামামা বাজতে বাকি থাকলেও, জলঘোলা হতে কিন্তু ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় এক ছাত্র যুব আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতা আব্বাসউদ্দিন খানকে এবার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। যদিও এই ব্যাপারে উলুবেড়িয়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি আব্বাস বাবু জানিয়েছেন, 294 টি আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী। তিনি যাকে প্রার্থী করবেন, তাকে মেনে নেওয়া হবে। বস্তুত, গত 10 ই অক্টোবর উলুবেড়িয়া রবীন্দ্রভবনে ইদ্রিসবাবুর উপস্থিতিতেই স্থানীয় প্রার্থী চাই বলে স্লোগান উঠতে শুরু করে। যার জেরে রীতিমত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অন্দরে। পরবর্তীতে 9 নভেম্বর একই রকম ঘটনা ঘটতে দেখা যায় বাউরিয়ায় তৃণমূল কর্মী সভায়। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে অবশ্য বিতর্ক এড়িয়ে গেছেন উলুবেড়িয়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পুলক রায়। তিনি সোজাসুজি জানিয়েছেন, দলের প্রার্থী ঠিক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জেলা সভাপতি যাই বলুন না কেন, সব কিছু মিলিয়ে বর্তমানে যে শাসক দলের অন্দরে তরজা তুঙ্গে, সেই বিষয়ে একমত প্রায় সকলেই। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -