এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিধানসভার রুটম্যাপ ঠিক করতে বিজেপির বৈঠকে অনুপস্থিত হেভিওয়েট বিধায়করা, দলবদল কি প্রধান কারণ! বাড়ছে জল্পনা!

বিধানসভার রুটম্যাপ ঠিক করতে বিজেপির বৈঠকে অনুপস্থিত হেভিওয়েট বিধায়করা, দলবদল কি প্রধান কারণ! বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বহু চেষ্টা করেও বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। 77 টি আসন দখল করে বিরোধী দলের জায়গা অর্জন করেছে তারা। তবে বিরোধী শক্তি হিসেবে যে প্রতিমুহূর্তে শাসক শিবিরের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেবে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীর নানা মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিধানসভার প্রথম অধিবেশন শুরুর দিনেই রীতিমতো রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হতে না হতেই বিক্ষোভ করতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টির জনপ্রতিনিধিদের।

যার জেরে কার্যত ভাষণ না দিয়েই বিধানসভা ছাড়তে হয় রাজ্যপালকে। অর্থাৎ আগামী দিনেও যে বিজেপি এভাবেই বিধানসভার অলিন্দে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবে, তা বলাই যায়। তবে আগামী দিনে বিধানসভার ভেতরে বিজেপি বিধায়কদের ভূমিকা কেমন হবে, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যেখানে 75 জন বিধায়ককে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার কারণে তিনি যে এই বৈঠকে থাকবেন না, তা ধরেই নিয়েছিলেন সকলে। তবে বাকি 74 জন বিধায়কের মধ্যে সকলেই উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হয়েছিল।

কিন্তু শেষপর্যন্ত বিজেপির এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে 6 জন বিধায়ককে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায়। যার ফলে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, মুকুল রায়ের মতো হেভিওয়েট নেতা কিছুদিন আগেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে যোগদান করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর তারপর থেকেই বিজেপির অনেক জনপ্রতিনিধি তার পথেই হাটবেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। সেদিক থেকে বিজেপির এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যে ছয়জন বিধায়ক অনুপস্থিত থাকলেন, তারা কি আগামী দিনের ক্ষেত্রে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন? আর তাই দলের এত বড় বৈঠক এড়িয়ে গেলেন, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, এদিন বিজেপির হেস্টিংসের কার্যালয় 40 জনের বেশি বিধায়ক সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা ভার্চুয়ালি মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় ছয়জন বিধায়ককে। যার মধ্যে রয়েছেন দার্জিলিং, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, বাগদা, কুলটি এবং ভাটপাড়ার বিধায়ক। তবে এর মধ্যে বিষ্ণুপুরের বিধায়কের বাবা অসুস্থ থাকার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানা গেছে। কিন্তু বাকিরা? তারা কেন এই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, বিজেপির এদিনের এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব এদিনের বৈঠকে সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে এসে আগামী দিনে কিভাবে বিধানসভার ভেতরে শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, সেই ব্যাপারে রুটম্যাপ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেদিক থেকে ছয়জন বিধায়কের অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও ভাবাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরকে।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি এবার খেলা দেখাতে শুরু করলেন মুকুল রায়? তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পরেই তিনি বিজেপির অনেক ঘনিষ্ঠ নেতা থেকে শুরু করে বিধায়কদের ফোন করেছেন বলে খবর পাওয়া যায়। আর তারপর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে বিরাট মাপের দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়। সেদিক থেকে ছয় জন বিধায়ক যখন গেরুয়া শিবিরের এত বড় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন, তখন এর পেছনে মুকুল রায়ের মস্তিষ্ক রয়েছে বলেও কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন একাংশ।

যদিও বা গেরুয়া শিবিরের দাবি, হয়ত বা ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো সমস্যা থাকার কারণে এই সমস্ত বিধায়করা উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু তারা দলের সঙ্গেই রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তারা দলবদল করেননি। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এখন যে কথাই বলা হোক না কেন, পরিস্থিতি যে তাদের কাছে ক্রমশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধুমাত্র দলের বৈঠকে উপস্থিত না থেকেই ক্ষান্ত থাকেন এই সমস্ত বিধায়করা, নাকি পরবর্তীতে জল্পনা বাড়িয়ে তারা আরও বড় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!