এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য পুরসভা! নগরবাসীর মন পেতে উন্নয়নের নয়া অবতারে হাজির হচ্ছে শাসকদল?

বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য পুরসভা! নগরবাসীর মন পেতে উন্নয়নের নয়া অবতারে হাজির হচ্ছে শাসকদল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূলের ছোট থেকে শুরু করে মেজো এমনকি বড় নেতাদের চিন্তা ছিল, বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। দল ক্ষমতায় আসলেও, খুব একটা বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলে তৃণমূলের অন্দরমহলে কানাঘুষো আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকলের জল্পনা-কল্পনা কে কার্যত বিশবাঁও জলে ফেলে দিয়ে দু’শোর বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার।

এমনকি বিগত দিনে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের মত কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে তৃণমূল ভালো ফল করতে না পারলেও, এবার বিজেপির চাপ থাকা সত্ত্বেও সেই সমস্ত জেলায় অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করেছে ঘাসফুল শিবির। আর মালদহ জেলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভালো ফল করার পরেই এবার পৌরসভা নির্বাচনেও যাতে ভালো ফল করা যায়, তার জন্য নিজেদের রণনীতি সাজাতে শুরু করল তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গেছে, মানুষের কাছে পৌরসভা নির্বাচনের আগে যাতে সঠিকভাবে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি কমিটি গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইংরেজবাজার পৌরসভা এলাকায় নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে তৃণমূলের গঠিত এই কমিটি সমন্বয় রেখে কাজ করবে বলে খবর। অর্থাৎ তৃণমূলের এই উদ্যোগ থেকেই কার্যত পরিষ্কার যে, এবার পৌরসভা নির্বাচনে মালদহ জেলা এবং ইংরেজবাজারে ভালো ফল করতে কার্যত উঠেপড়ে লেগেছে ঘাসফুল শিবির। আর সেই কারণেই এখন উন্নয়নের বার্তা দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এবার মালদহ জেলায় তৃণমূল ভালো ফল করলেও শহরে তারা বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। যেখানে শহরের বেশিরভাগ ওয়ার্ডে তৃণমূলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে এখন তৃণমূল নজর দিতে শুরু করেছে। কেননা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যদি ভারতীয় জনতা পার্টি একইভাবে পৌরসভা নির্বাচনে এগিয়ে থাকে, তাহলে তৃণমূলের গড়রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে মানুষের কাজ করতে রীতিমত উদ্যোগী ঘাসফুল শিবিরের নেতৃত্বরা।

একাংশ বলছেন, ইংরেজবাজার পৌরসভা তৃণমূলের দখলে থাকা সত্বেও, বেশ কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। পানীয় জল সরবরাহ থেকে শুরু করে জঞ্জাল এবং নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকমত গড়ে ওঠা না নিয়ে মানুষের ক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে। তাই পৌরসভা নির্বাচনের দামামা বাজার আগে সেই সমস্ত কাজে মনোযোগ দিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

দলীয় কমিটি গঠন করে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের মতামত নিয়ে তা সমাধানের জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের কাছে পাঠানো হবে বলে খবর। অর্থাৎ মানুষের কাছে তাদের সঠিক পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে পৌরসভা নির্বাচনের সময় যাতে বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে না পারে, সেই চেষ্টাই করতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হঠাৎ করে কেন এই উদ্যোগ? এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর বলেন, “উন্নততর ইংলিশবাজার গঠনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। তার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে নজর দেওয়া হয়েছে। অতীতে আমি ইংরেজবাজার শহরের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছি। আগামীদিনেও করব।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার 200 আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভের পরেও তারা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নয়। এক্ষেত্রে 2011 সাল বা 2016 সালে বিপুল আসনে জয়লাভের পরেও দেখা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের সংগঠনের পুনরুদ্ধার নিয়ে কোনোরকম চিন্তা করেনি।

এক্ষেত্রে তারা যে সমস্ত জায়গায় পরাজিত হয়েছিল, সেই দিকে কোনো নজর দেয়নি। কিন্তু এবার বিষয়টা অন্যরকম। 2011 বা 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও বেশি আসন নিয়ে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে 77 টি আসন পেয়ে রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর পৌরসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ শহরে বিজেপি এগিয়ে থাকার কারণে কিছুটা চিন্তা বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের।

ভবিষ্যতে পৌরসভাগুলোর ফলাফল যাতে গেরুয়া শিবিরের দিকে চলে না যায়, তার জন্য এখন থেকেই উন্নয়নের বার্তা দিয়ে মানুষের পাশে থাকার কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই কারণেই মালদহ জেলার ইংলিশবাজার পৌরসভায় আগামী নির্বাচনে ভালো ফল করতেই তৃণমূলের এই কৌশলগত উদ্যোগ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!