প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বহু রাজনীতিবিদদের মতে বর্তমানে বাংলা রাজনীতিতে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর কারণ সেখানে তারা একদিকে দেখিয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতা মন্ত্রীর দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা, সেই সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ না করা এবং দলের যে কোনো কর্মসূচিতে গাছাড়া ভাব দেখানো। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দলে যোগদানের আশঙ্কা থেকেও গোষ্ঠী কোন্দলের সম্ভাবনাকে রাজনীতিবিদরা গুরুত্ব দিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক বা নেতা মন্ত্রীদের বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে শুধুমাত্র বিজেপি নয়, সেখানে কংগ্রেস বা সিপিএম থেকেও তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের নিজেদের দলে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানাতে দেখা গিয়েছিল। তবে কিছুদিন আগে তৃণমূল বিধায়কের ফেসবুকে মুখমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করা নিয়ে মন্তব্য করায় রাজ্য রাজনীতিতে চূড়ান্ত জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল।

অন্যদিকে, যা পরবর্তীকালে তার বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনাও প্রবল করে। অন্যদিকে, তারই মধ্যে দিলীপ ঘোষের তরফেও তাকে বিজেপিতে যোগদান করার জন্য আহ্বান করতে দেখা যায়। তবে সম্প্রতি তাকে নিয়ে বিজেপির তরফে যে মন্তব্য করা হয়েছে, সেখানে তার বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা আরো বেশি যথার্থ হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকরা।

কথা হচ্ছে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে নিয়ে। কিছুদিন আগে দলের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছিলেন, কোনো সংস্থাকে দিয়ে সংগঠন চালাতে গেলে, সেই সংগঠনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। আর এখানে সংস্থা বলতে যে তিনি পিকের সম্পর্কে বলতে চেয়েছেন সেটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না।

যদিও তিনি একা নন, এর আগে আরো অনেক দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের এরকম কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। তবুও তাঁর কথা শুনেই সেইসময় কোচবিহার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে দলের একাধিক কর্মীর মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রচারে থাকার মরিয়া চেষ্টা বলেই দাবি করতে দেখা গিয়েছিল কোচবিহার রাজ্য তৃণমূলের সদস্য পার্থপ্রতিম রায়কে।

সেইসঙ্গে সেইসময় বিধায়কের বাড়িতে যেতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে। আর যা নিয়ে বিধায়কের বিজেপি যোগের সম্ভাবনাও তীব্র হয়ে ওঠে। যদিও তাদের সাক্ষাৎকারকে সৌজন্যতার খাতিরেই হওয়ার কথা বলা হয়, তবুও তা মানতে নারাজ ছিলেন বিরোধীরা। আর সম্প্রতি বিজেপি মিহির গোস্বামীর গতিবিধির ওপর নজর রাখছে বলেই আবারও দাবি করতে দেখা গেছে বিরোধীদের।

অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বসু তাঁর বিজেপিতে যোগদানের আশা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, মিহির গোস্বামী একজন সজ্জন ব্যক্তি। তবে তিনি তৃণমূলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছেন বলেই জানান তিনি। আর তাই তিনি বিজেপিতে আসতে চাইছেন বলেই জানিয়েছেন।

অন্যদিকে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে যে, মিহিরবাবুর ক্ষোভ থাকতে পারে কিন্তু বিজেপি দিবা স্বপ্ন দেখছে। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনো মিহির গোস্বামীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবুও ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজনীতিতে যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য।