এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধায়কের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার! অস্বস্তিতে শাসক দল

বিধায়কের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার! অস্বস্তিতে শাসক দল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে‌। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরা। ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তার নিজের কাছের আত্মীয়দের পাইয়ে দিয়েছেন বলে সরব হয়েছে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। কিন্তু তৃনমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হবেন তৃণমূলেরই হেভিওয়েট নেতা, তা সত্যিই কল্পনা করা যায়নি। কিন্তু এবার তেমনই এক ঘটনা ঘটে গেল রাজ্যে।

যেখানে জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষন, সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুললেন জয়নগরের তৃণমূলের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান গৌর সরকার। স্বাভাবিকভাবেই দলের এক নেতা বিধায়কের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ করায় এখন ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন গৌর সরকার।

যেখানে তিনি বলেন, “বহু গরিব মানুষ দুর্যোগে বাড়িঘর হারিয়েও ক্ষতিপূরণ পাননি। অথচ পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও বিধায়কের কাছের লোক হওয়ায় অনেকেই দুর্যোগে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীসাথী মিলে সরকারি আধিকারিকদের ব্যবহার করে মাত্রাছাড়া দুর্নীতি করেছেন। বিভিন্ন খাতে আসা সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করেছেন। সাধারণ মানুষের কাছে এরা তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমি দলকে বিষয়টা জানিয়েছি। আশা করছি, দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আমি রাস্তায় নেমে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করব।”

তাহলে কি সত্যি সত্যিই দলীয় বিধায়ক এইরকম দুর্নীতি করেছেন? আর তাই দলের অন্যতম নেতা বিধায়কের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তা সম্ভব হয়নি। তবে বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরকারের অভিযোগ অবশ্য সম্পূর্ণরূপে খন্ডন করে দিয়েছেন দক্ষিণ বারাসাত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের অরুণ নস্কর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “বিধায়ক সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দিয়েছেন। সর্বত্রই ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের নেতৃত্বে এলাকায় একের পর এক উন্নয়ন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” একাংশের মতে, জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে গৌর সরকারের দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে। আর এদিন দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গৌরবাবু যে অভিযোগ করলেন, তাতে তৃণমূল ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ল।

শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে গৌর সরকারের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা যে তাদের হাতে তৃণমূল বিরোধী তার নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু যেভাবে এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল, তাতে দল এখন কি এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যজুড়ে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি চলছে। সেই সব মিটলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু যেদিকে যাচ্ছে গোটা পরিস্থিতি, তাতে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে যেভাবে সরব হচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা, তাতে বিরোধীরা এখন বাড়তি অক্সিজেন পেতে শুরু করেছে।

সব মিলিয়ে তৃণমূল যদি দলের হাল শক্ত ভাবে না ধরে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রকম ঘটনা তাদের অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!