এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে বিফল মনোরথে ফিরলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কারণ কি?

বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে বিফল মনোরথে ফিরলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কারণ কি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাম্প্রতিককালে গেরুয়া শিবিরের কাছে সবথেকে বড় ধাক্কা মুকুল রায়ের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত মুকুল রায় বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তরে জয়লাভ করে বিধায়ক হয়েছেন। দল ছাড়ার সাথে অবশ্য বিধায়ক পদ ছাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে, দলত্যাগ বিরোধী আইন জারি করে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ কেড়ে নেওয়ার। আর এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আজ তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেও বিফল হলেন।

নিয়ম অনুযায়ী দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা কিংবা বিধায়ক পদ কেড়ে নেওয়া এই পুরোটাই নির্ভর করছে বিধানসভার স্পিকারের ওপর। ঠিক যেভাবে সাংসদ পদ বাতিল করার ব্যাপারটি নির্ভর করে লোকসভার স্পিকারের ওপর। তাই কালবিলম্ব না করে শুভেন্দু অধিকারী আজকে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে ছুটে গিয়েছিলেন বিধানসভায়, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে আবেদনপত্র তুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এ যাত্রা শুভেন্দু অধিকারীকে বিফল হতে হয়েছে। কারণ বিধানসভায় আজকে অনুপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ। তাঁর অফিসের অন্যান্যরাও এই চিঠি রিসিভ করতে চাননি।

ফলস্বরুপ শুভেন্দু অধিকারীকে আজকে বিফল মনোরথ হয়েই ফিরতে হয়েছে। তবে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি সরাসরি লোকসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে চিঠি দিতে না পারলেও স্পিকারকে ইমেইল করবেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ ছাড়া নিয়ে সেভাবে সোচ্চার নন গেরুয়া শিবিরের অন্যান্যরা।

ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে মুকুল রায়ের গোলেই বল ঠেলেছেন। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ জানান, মুকুল রায় প্রবীণ নেতা। তিনি দল ছেড়েছেন চিন্তাভাবনা করেই। তাই বিধায়ক পদ রাখা নিয়ে তিনি বিবেচনা করবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবির রাজ্যে যে পিছিয়ে রয়েছে তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সুতরাং উপনির্বাচন হলে তা বিজেপির পক্ষে নাও যেতে পারে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই বিজেপির যে এ ব্যাপারে বিশেষ মুখ খুলছেনা, তা নিয়ে নিশ্চিত থাকা যায়। কিন্তু বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর এত মরিয়া চেষ্টার কারণ কি? অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ বাতিল নিয়ে রাজ্য সরকার যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে, তারই জবাব দিতে শুভেন্দু অধিকারী এবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ যেনতেন প্রকারেণ বাতিল করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন।

সব মিলিয়ে বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়টি যথেষ্ট জটিলতার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে শুভেন্দু বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে আদালত পর্যন্ত যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, বিধায়ক পদ খারিজ এর ব্যাপারটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শুধুমাত্র বিধানসভার স্পিকার। এখানে অন্য কেউ কিছু করতে পারেন না। আপাতত মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়টি এখন কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!