বিধায়কের মৃত্যুতে বিজেপির ডাকা বন্ধে কেমন সাড়া মিলল, আসুন জেনে নিন উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সোমবার থেকেই উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে দিনভর তোলপাড় হল রাজ্য রাজনীতি। বিধায়কের মৃত্যুতে যে প্রশ্নটি বিজেপি শিবিরের প্রায় প্রত্যেকেই তুলেছে, তা হল বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু আত্মহত্যা না হত্যা? প্রাথমিক তদন্তে অবশ্য আত্মহত্যার উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে এদিন উত্তরবঙ্গে পালিত হল বিজেপির ডাকা বন্ধ। সূত্রের খবর, এই বন্ধে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় বন্ধ সফল বলেও দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এই বন্ধে ভালো সাড়া মিলেছে। তবে রায়গঞ্জ শহরে পুলিশের আধিক্যই চোখে পড়েছে বেশি। অন্যদিকে বিধায়কের মৃত্যু ঘিরে প্রবল হয়ে ওঠে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী সমর্থক বনধ সফল করতে রাস্তায় নেমে পড়ে। প্রথমেই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার রায়গঞ্জ ডিপোর সামনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পিকেটিং করে। আর এরপর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বাস চলাচলে বাধা দেওয়ার এবং বিক্ষোভের খবর আসে পরপর। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বিশাল পুলিশবাহিনী আসরে নামে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরাও এদিন জায়গায় জায়গায় বন্ধের বিরোধিতা করতে পাল্টা বিক্ষোভ করে বলে জানা যায়। আর সেই নিয়ে দুই দলের সদস্যদের মধ্যে লাগে গন্ডগোল। পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় আসে। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ বনধ ও পিকেটিং করার অভিযোগে তাদের একাধিক কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে হেমতাবাদে কাকরসিং এলাকায় বিজেপি সমর্থকদের পিকেটিং চলার সময় তাদের ওপর সিভিল ভলান্টিয়ার লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে পাল্টা বিজেপি কর্মীরা রায়গঞ্জ বালুরঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পরে হেমতাবাদ থানার ওসি দিলীপ পাল এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা যায়। অন্যদিকে মঙ্গলবার বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা একযোগে অভিযোগ করে, বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। লাঠির আঘাতে তাঁদের কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়েছে বলে দাবী করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে দলীয় বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এদিন রায়গঞ্জে আসেন বিজেপির বহু হেভীওয়েট নেতা নেত্রী। যাঁদের মধ্যে ছিলেন, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ অধিকারী, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মূর্মু, রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, বিজেপির রাজ্য নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে এসে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ অধিকারী রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন বলে জানা গেছে।একদিকে যেমন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে তিনি জানান, অন্যদিকে বিধায়কের মৃত্যুতে তথ্য লোপাটের অভিযোগ করেন। তবে এদিন অন্যান্য বিজেপি নেতাদের মতোই নিশীথ অধিকারী বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। অন্যদিকে হেমতাবাদের বিধায়কের মৃত্যু ঘিরে এই মুহূর্তে বিজেপি ও তৃণমূল এর রাজনৈতিক লড়াই যে জমে উঠেছে সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে বিধায়কের মৃত্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এবার যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির সে কথা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -