এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিধায়ক হয়েই গৃহত্যাগী হিরণ, আশ্রমে ঠাই নিয়ে বাড়াচ্ছেন জল্পনা!

বিধায়ক হয়েই গৃহত্যাগী হিরণ, আশ্রমে ঠাই নিয়ে বাড়াচ্ছেন জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল। বিজেপির লক্ষ্য ছিল, এবার তারা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে 77 টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই 77 জনের মধ্যে অন্যতম খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী বিজেপির বিধায়ক তথা বিশিষ্ট অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

কিন্তু বিধায়ক হওয়ার পর কলকাতার বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন এই বিজেপি বিধায়ক। যেখানে খড়্গপুরে একটি আশ্রম থেকে সমস্ত কাজ পরিচালনা করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে এখন নানা মহলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। কেন গোপন একটি আশ্রম থেকে বিধায়ক হিসেবে কাজ পরিচালনা করছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি করেছে প্রশ্ন।

কেন এইভাবে গোপন একটি আশ্রম থেকে সমস্ত কিছু পরিচালনা করছেন তিনি? এদিন এর কারণ হিসেবে খড়্গপুরের বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খড়গপুর বিধানসভা এলাকায় সেভাবে ভোট পরবর্তী কোনো গন্ডগোল নেই। অনেকটাই শান্তিপূর্ণ এই এলাকা। সেই কারণে আশেপাশের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকার অনেক ঘরছাড়া কর্মী এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের কয়েকটি জায়গায় ভোগ করে রাখা হয়েছে। মূলত অনেক জায়গায় বিজেপি সমর্থকদের পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে‌। সেই জন্য আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমার পক্ষে যতটা সাহায্য করা যায়, আমি করছি। আমি শুধুমাত্র বিজেপির বিধায়ক নই। এই এলাকার সব মানুষের বিধায়ক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ বিজেপির এই তারকা বিধায়কের কথার মধ্যেই স্পষ্ট যে, প্রকাশ্যে তিনি কাজকর্ম করতে গেলে অনেকটাই বাধা আসতে পারে। তাই গোপনে আশ্রম থেকে মানুষের পাশে যাতে দাঁড়ানো যায়, তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থাপনা করে তার এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলতে শুরু করেছেন, হিরণ চট্টোপাধ্যায় হয়ত বা সেভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ করলেন না। কিন্ত তিনি নিজের কথার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধা আসতে পারে। তাই মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য তার যাতে কোনোরকম বিপত্তি না আসে, তার জন্যই তার এই সুকৌশলী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

কেননা ভোটের পর বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির অনেক জনপ্রতিনিধিকে বিপদের সময় দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিক থেকে প্রকাশ্যে যদি তারা কোনোরকম কাজ করতে যায়, তাহলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাধা আসবে বলে অভিযোগ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক হওয়ার পর গোপনে আশ্রম তৈরি করে কিছুটা বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে সাধারণ জীবন যাপন করতে দেখা যাচ্ছে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। যেখানে নিজের কর্মে অবিচল থেকে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তার এই নজিরবিহীন উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!