এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধায়ক খুনের পর এবার বড়সড় জালিয়াতি মামলাতেও ছাড়! মুকুলকে নিয়ে কি তৃণমূলের স্টান্স বদলাচ্ছে?

বিধায়ক খুনের পর এবার বড়সড় জালিয়াতি মামলাতেও ছাড়! মুকুলকে নিয়ে কি তৃণমূলের স্টান্স বদলাচ্ছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের পর মুকুল রায় অভিযোগ করেন, তৃণমূলে থাকার সময় তার নামে একটা অভিযোগ না থাকলেও, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই রাজ্যের শাসক দল প্রতিহিংসাপরায়ণ হবে তাকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে। বাস্তবে দেখতে পাওয়া যায় যে, মুকুল রায়ের নামে বিভিন্ন জায়গায় মামলা হতে শুরু করে। যার ফলে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়েন এই বিজেপি নেতা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন মুকুল রায়। আর তারপরেই অতীতে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় কার্যত ছাড় পেতে চলেছেন তিনি। যার ফলে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

জানা গেছে, রেলের একটি কমিটির সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে 70 লক্ষ টাকা প্রতারণা এবং জালিয়াতির মামলায় 4 অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিল পুলিশ। যেখানে মূল অভিযুক্ত হিসেবে এফআইআরে নাম রয়েছে বর্তমান বিজেপির সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের। তবে এফআইআরে নাম থাকলেও সেই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্তদের মোবাইল সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের ফরেনসিক রিপোর্ট এলেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি মুকুল রায়ের প্রতি এবার সুর নরম করতে চলেছে রাজ্য সরকার? আর তাই অতীতে তার বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে মামলা হলেও, এবার সেখান থেকে মুকুল রায়কে ছাড় দেওয়া হচ্ছে?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর জানুয়ারি মাসে সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় সরশুনা থানায় একটি অভিযোগ করেন। যেখানে তিনি জানান যে, 2015 এবং 2016 সালে বেশ কয়েক দফায় দলের একটি কমিটির সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মুকুল রায় সহ বাবান ঘোষ, সাদ্দাম আনসারিরা তার কাছ থেকে 70 লক্ষ টাকা আদায় করেন। আর এর পরেই সরশুনা থানায় মুকুল রায় সহ চারজনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে গত আগস্ট মাসে বিজেপির বাবান ঘোষ এবং সাদ্দাম আনসারিকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি মুকুল রায়কে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু এবার পুলিশের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া চার্জশিটে বাবান ঘোষ, রাহুল সাউ, সাদ্দাম হোসেন আনসারী এবং কালাম হোসেন আনসারীর নাম থাকলেও, সেখানে নেই মুকুল রায়ের নাম। অনেকে বলছেন, নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় প্রথমদিকে মুকুল রায়ের নাম জড়িয়ে পড়লেও, সিআইডি চার্জশিটে তাকে পরোক্ষভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর এবার জালিয়াতি মামলাতেও পুলিশের চার্জশিটে তার নাম না থাকায় জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিককালে বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর মুকুল রায়ের প্রভাব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে‌। তাই এই পরিস্থিতিতে এতদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা মুকুল রায়কে নানা মামলায় জড়িয়ে দিয়ে বিদ্ধ করার চেষ্টা করলেও, এবার সেই মুকুল রায়কে ছাড় দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করেছে। যার ফলে অনেকেই বলছেন, তাহলে কি মুকুল রায়ের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের সমঝোতা হল! আর তাই চার্জশিটে এখন তার নাম বাদ রাখল পুলিশ?

তবে অনেকে এই যুক্তি দিলেও তা মানতে নারাজ মুকুলবাবুর অনুগামীরা। তাদের দাবি, মুকুল রায় সত্যের পথে চলেন। তিনি কোনো দোষ করেননি। তাকে হেনস্থা করতে এবং তার রাজনৈতিক প্রতিপত্তিকে ভেস্তে দিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানা চক্রান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর তা ধোপে টিকছে না।সব মিলিয়ে বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পরই যেভাবে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে হওয়া একের পর এক মামলায় ছাড় দিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য পুলিশকে, তাতে নতুন করে জল্পনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!