এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ, আজ থেকেই কি সচল হতে চলেছে রাজ্য? জেনে নিন

বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ, আজ থেকেই কি সচল হতে চলেছে রাজ্য? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   নির্বাচনের মধ্যে বাংলায় আছড়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। স্বাভাবিকভাবেই আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। তবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর শপথ নিয়ে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার তার লক্ষ্য করোনা ভাইরাস আটকানো। আর সেই মতো করেই মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক থেকেই রাজ্যে বিধি নিষেধ লাগু করেছিলেন তিনি। আর সেই বিধি-নিষেধ বেশকিছু পর্যায়ে করলেও ধীরে ধীরে বেশ কিছু ক্ষেত্র খুলে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যার ফলে স্বস্তি পেয়েছিল রাজ্যবাসী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি সচল হয়নি রাজ্য।

তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তের ফলে অনেকটাই নীচের দিকে নামতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে একদিকে সাধারণ মানুষের কথা অনুভব করে এবং অন্যদিকে রাজ্যকে সচল করার জন্য এবার কি সেই বিধি-নিষেধ সম্পূর্ণরূপে তুলে নিতে চলেছে রাজ্য সরকার? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামীকাল অর্থাৎ 15 জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে বিধিনিষেধের মেয়াদ বহাল রয়েছে। সেদিক থেকে আগামীকালের পরেই কি সচল হয়ে যেতে চলেছে রাজ্য, নাকি আবার সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নতুন করে বিধিনিষেধ লাগু করা হবে, এখন তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, আগামীকাল শেষ হচ্ছে রাজ্যে বিধিনিষেধের মেয়াদ। তবে তার আগে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কি হবে, তা জানিয়ে দিতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাস্তায় 50 শতাংশ পরিবহন ব্যবস্থা সচল করার কথা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ার কারণে অনেকটাই অসুবিধার মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। একইভাবে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের স্কুল-কলেজ বন্ধ। পঠন-পাঠন কার্যত শিকেয় উঠেছে‌। তাই করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে যখন স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন কিছুটা হলেও বিদ্যালয় খুলে দিয়ে পঠন-পাঠন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা উচিত বলেই দাবি করছেন অভিভাবক- অভিভাবিকারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এর মাঝেই করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর আবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ কঠোর ভাবে পালন করার কারণে বাংলায় এখন করোনা ভাইরাস কার্যত ফিকে। তবুও সাবধানতা অবলম্বন করার বার্তা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যখন বিধিনিষেধের জন্য অভাব-অনটনে ধুকতে শুরু করেছেন, তখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যখন নীচের দিকে, তখন আজ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ করে রাজ্যকে সচল করার কথা জানিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ।

তবে একাংশ এই কথা বললেও, অনেকের মধ্যেই ব্যাপারে আশঙ্কার শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে ইতিমধ্যেই তৃতীয় পর্যায়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। তাই বিধি-নিষেধকে যদি আলগা করে দেওয়া হয় এবং রাজ্যকে যদি সচল করে দেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাবে না। আর সচেতনতা যদি সেভাবে দেখা না যায়, তাহলে আবারও দ্বিতীয় ধাপের করোনা ভাইরাসের মতো তৃতীয় ধাপে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

স্বাভাবিক ভাবেই তৃতীয় দফাকে আটকে দিয়ে যাতে এখন থেকেই সচেতনতা পালন করা যায়, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্র খুলে দিয়ে সেই বিধি-নিষেধ বহাল রাখা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সবটাই নির্ভর করছে রাজ্য প্রশাসনের ওপর। এখন এই ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে কি সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যে আবার বহাল থাকে বিধি-নিষেধ, নাকি সম্পূর্ণরূপে সচল করে দেওয়া হয় রাজ্য, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!