এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিদ্রোহের আগুন নেভাতে পারলেন না খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও, যে কোনোদিন দল ছাড়তে পারেন এই নেতা !

বিদ্রোহের আগুন নেভাতে পারলেন না খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও, যে কোনোদিন দল ছাড়তে পারেন এই নেতা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরবঙ্গের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সে জায়গায় দখল নেয় গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের গোড়ায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী উত্তরবঙ্গে আবার সাংগঠনিক জোর ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিচ্ছেন। কিন্তু সে জায়গায় সবথেকে বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীকোন্দল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ির তৃণমূল শিবিরে বিদ্রোহ করেছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মোহন বসু।

মোহন বসুর বিদ্রোহকে ঠান্ডা করতে জেলাস্তর থেকে রাজ্যস্তরের প্রতিটি নেতা তাঁর সাথে আলাপ আলোচনা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু তা স্বত্ত্বেও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একইভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জারি রেখে এবার মোহন বসু দল ছাড়ার হুমকি দিলেন। তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতা মোহন বসু এদিন বলেন, তৃণমূল বর্তমানে আগের মতন নেই। তাই তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দলে আর কতদিন থাকতে পারবেন তাই নিয়ে। এদিন মোহন বসু জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি দলের কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন না।

তবে জানুয়ারি মাসে তিনি দলীয় সুপ্রীমোকে তাঁর অবস্থান জানাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে দলের প্রতি অনাস্থা রেখেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখার কথা বলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু। আর সে কারণেই তিনি নিশ্চিত করেছেন, অন্য কোনো দলে তিনি যাবেন না বরং রাজনীতি থেকে হয়তো তিনি বরাবরের জন্য বিদায় নিতে পারেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এদিন বলেন, জলপাইগুড়ির জেলা কমিটিতে অনেকেই আছেন। কিন্তু বর্তমানে ক্রমশ মানুষ তৃণমূলের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতের জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূল যে আবার পিছিয়ে পড়বে সেদিকেই ইঙ্গিত করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা দলনেত্রী নিজে জলপাইগুড়ির কমিটি তৈরি করেন এবং সেই কমিটিতে বিক্ষুব্ধদের স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও দলের গোষ্ঠীকোন্দল যে বিন্দুমাত্র কমেনি, সে কথা স্পষ্ট। মূলত প্রবীণ নেতা মোহন বসু অটল রয়েছেন জেলা সভাপতির অপসারণের দাবিতে এবং তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভা ভিত্তিক দলের কোনো কর্মী সম্মেলনে তিনি যাবেন না। আর এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাও কি তিনি অস্বীকার করছেন? উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে এবং বিজেপিকে ঠেকিয়ে রাখতে একটি কমিটি গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে বিক্ষুব্ধদের স্থান দেওয়া হয়। আসন্ন নির্বাচনে যাতে প্রত্যেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে সেকথাই স্পষ্ট বলে দলীয় সুপ্রীমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা কমিটিতে বিদ্রোহী নেতা মোহন বসু যেমন রয়েছেন, একই সাথে তিনি জেলার সহ-সভাপতি পদেও আসীন রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলপাইগুড়ির হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিদ্রোহ কিন্তু আখেরে সুবিধা করে দেবে বিরোধী শিবিরের। আর সে কথা স্পষ্ট তৃণমূলের অন্দরেও। যথারীতি এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক দল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই সমস্যার সমাধান না হলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ময়দানে তৃণমূলকে বিপাকে পড়তে হতে পারে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!