এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিদ্রোহী নেতাকে নিয়ে আন্তরিক নয় তৃণমূল? অশান্তির পরিবেশ ক্রমশই বাড়ছে শাসকদলে? তীব্র জল্পনা

বিদ্রোহী নেতাকে নিয়ে আন্তরিক নয় তৃণমূল? অশান্তির পরিবেশ ক্রমশই বাড়ছে শাসকদলে? তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট: পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডে তার না থাকার পর থেকেই জেলা সভাপতি কিষাণকুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে বেশি করে সরব হতে দেখা যায় জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুকে। তারপর মোহনবাবুর একের পর এক বোমা ফাটানোকে কেন্দ্র করে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয় জেলা রাজনীতিতে। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে মোহন বসুর ক্ষোভকে সামাল দেওয়ার জন্য নানা নেতা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার জলপাইগুড়িতে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির কথা জেলা সভাপতি ঘোষণা করার পরই সেই জেলা সভাপতির বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রবীণ নেতা মোহন বসু। যার ফলে নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে, আগামী 8 সেপ্টেম্বর, 14 সেপ্টেম্বর এবং 16 সেপ্টেম্বর বিজেপির বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল রাস্তায় নেমে পথসভা এবং মিছিল করবে। এদিন সেই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী। যেখানে তিনি বলেন, “রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে বঞ্চনার প্রতিবাদে আমরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হচ্ছি। কর্মসূচিকে ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এদিন সাংগঠনিকভাবে আলোচনা হয়েছে।”

এদিকে এই ঘটনার কিছু সময় পরেই কিষাণ কুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল নেতা মোহন বসুকে। তিনি বলেন, “জেলায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে। আমার পরামর্শ বা আমার সঙ্গে সাংগঠনিক কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে না। তাই দলের স্বার্থে আমি নিজের মত করে কর্মসূচি চালিয়ে যাব।” স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে যখন তৃণমূল এককাট্টা হতে উদ্যোগী, ঠিক তখনই জেলা সভাপতির সাংবাদিক বৈঠকের পর যেভাবে তার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল মোহন বসুকে, তাতে বিজেপি তাদের হাতে নয়া রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা তৃণমূলকে কটাক্ষ করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “ওদের সঙ্গে কেউ নেই। গত লোকসভা ভোটের পরেই বিষয়টি ওরা বুঝতে পেরেছিল। তাই এখন আমাদের দল ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অপ্রাসঙ্গিক কিছু বিষয়কে সামনে এনে আন্দোলন করবে। আমরা ওসব পাত্তা দিচ্ছি না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দিন যাচ্ছে, ততই রাজ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। আর এমত পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে, রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে। কিন্তু যেভাবে জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপির বিরুদ্ধে কর্মসূচির ঘোষণা করার সাথে সাথেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হলেন জেলার আর এক তৃণমূল নেতা, তাতে তৃণমূলের সমস্যা আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্তর্কোন্দল যেমন প্রকাশ্যে এল, ঠিক তেমনই বিরোধীরা তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্ব নিয়ে ময়দানে নেমে আরও বেশি করে সব হবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দুই নেতার দ্বন্দ্ব মেটাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!