এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপি ছাড়লেই মিলছে টিকিট! রাজ্য নেতাদের দলবদলের জেরে বিধানসভার আগে ঘুম উড়ছে গেরুয়া বাহিনীর?

বিজেপি ছাড়লেই মিলছে টিকিট! রাজ্য নেতাদের দলবদলের জেরে বিধানসভার আগে ঘুম উড়ছে গেরুয়া বাহিনীর?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। আর কিছুদিনের মধ্যেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হবার কথা। কিন্তু তার আগেই বিহার রাজ্য নিয়ে বিজেপি শিবিরে চিন্তার ভাঁজ। ইতিমধ্যেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে শরিক দলের অন্তর্কলহ সামনে এসেছে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক সমালোচনা। সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরে বিদ্রোহ করেছিলেন বেশ কয়েকজন নেতা। তাঁদেরকে ফিরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তাতে বিশেষ কোন কাজ হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।

আর এবার বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এলজেপি বা চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গে বিজেপি বিন্দুমাত্র যোগাযোগ রাখতে ইচ্ছুক নয় তা জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও বিহারে এনডিএ জোটের শরিক দল জেডিইউ-এর বিশ্বাসভাজন হতে ব্যর্থ হচ্ছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহে 42 টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন এলজেপির চিরাগ পাসোয়ান। আর এই তালিকাতেও দেখা যাচ্ছে, বিজেপি থেকে যেসব নেতারা বিদ্রোহ করে বেরিয়ে গেছেন তাঁরা অবশেষে এলজেপিতে গিয়ে ঢুকেছেন।

এবং তাঁরা প্রত্যেকে চিরাগ পাসওয়ানের প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে যে নামটি নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেই হাইপ্রোফাইল নামটি হল রাজেন্দ্র সিংহের। 2015 সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিনারা আসন থেকে দাঁড়িয়ে জেডিইউ এর কাছে হেরে যান তিনি। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আর এই রাজেন্দ্র সিং এবার টিকিট পেতে চলেছেন চিরাগ পাসওয়ানের হাত ধরে। অন্যদিকে এলজেপিতে যোগ দিলেও রাজেন্দ্র সিংয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে কিন্তু বিজেপিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর ফলে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে রাজেন্দ্র সিংহ যেখানে লড়তে চেয়েছিলেন সেই জায়গায় জেডিইউ এর প্রার্থী জয় কুমার সিং দাঁড়াচ্ছেন এবং এই জয় কুমারের কাছেই কিন্তু 2015 সালে হেরে গিয়েছিলেন রাজেন্দ্র সিং। অন্যদিকে জেডিইউ এবং এনডিএ জোটের কারণে তিনি এবছর টিকিট পান নি গেরুয়া শিবির থেকে। এর পরেই মনে করা হচ্ছে, তিনি এলজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করে দল ছেড়ে চলে যান।

অন্যদিকে চিরাগ পাসওয়ান আবার নতুন করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা।বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, নিতিশ কুমারকে চাপে ফেলার জন্যই পেছন থেকে এলজেপিকে সাহায্য করে চলেছে বিজেপি । সব মিলিয়ে বিজেপি এবং জেডিইউ জোটে ভালো মতন চির ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে মুখে যাই বলা হোক না কেন বিজেপি এবং জেডিএস জোট যে আগের মতন নেই তাও স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই বিজেপি জেডিইউ-এর দুজন নেতাকে নিজেদের টিকিটে ভোটে যেমন দাঁড় করাচ্ছেন ঠিক একইভাবে জেডিইউ ও বিজেপির দুই নেতাকে নিজেদের দলে নিয়ে এসে ভোটে দাঁড় করাচ্ছে।

সবমিলিয়ে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এলজেপি এবং জেডিইউ দুই দলই বিজেপি শিবিরের মিত্রশক্তি। তাই দু’জনকেই এই মুহূর্তে প্রয়োজন গেরুয়া দলের। কিন্তু বিহারের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে যেভাবে শরিকি দ্বন্দ্ব বেড়ে উঠেছে, তা গেরুয়া শিবিরে শান্তি ফেরাতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে দলের বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে। সে জায়গায় বিদ্রোহী নেতাদের সন্তুষ্ট করতে গেরুয়া শিবির এবার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সে দিকেই নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!