এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিদ্রোহী নেতাকে আপাতত দেওয়া গেছে সামাল! বাঁচল মুখ্যমন্ত্রীর গদি, বড়সড় স্বস্তি শাসক শিবিরে!

বিদ্রোহী নেতাকে আপাতত দেওয়া গেছে সামাল! বাঁচল মুখ্যমন্ত্রীর গদি, বড়সড় স্বস্তি শাসক শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাম্প্রতিককালে জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার শীর্ষে ছিল শচীন গেহলট দ্বন্দ্ব। কদিন আগেই মরু রাজ্য উত্তাল হয়েছিল শচীন পাইলট ও অশোক গেহলটের রাজনৈতিক সংঘাতে। এই দ্বন্দ্ব মেটাতে কার্যত কালঘাম ছোটে হাইকমান্ডের বলে জানা যাচ্ছে। মাসখানেকের জটিল রাজনৈতিক আবহাওয়া থাকার পর এবার আক্ষরিক অর্থে মরু রাজ্যে এলো স্বস্তির হাওয়া। দীর্ঘদিনের সংঘাত ভুলে আবার এক ফ্রেমে এলেন শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলট।

গত জুলাই মাসে শচীন পাইলট 18 জন কংগ্রেস অনুগামী সহ রাজস্থান কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। যথারীতি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট পড়েন চরম বিপদে। সরকার ধরে রাখাই দায় হয়ে যায়। এই অবস্থায় শচীন পাইলটকে ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী। রাজস্থানে কংগ্রেস শিবিরের দ্বন্দ্ব এক নিমেষে মিটে যায় যখন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বাসভবনে এসে পৌঁছালেন শচীন পাইলট। আর তারপরেই কংগ্রেসের দুই হেভিওয়েট নেতা একযোগে আক্রমণ করলেন বিজেপিকে।

অন্যদিকে দীর্ঘদিনের চাপানউতোর শেষে অবশেষে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয় রাজস্থানে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগেই বৈঠক ডাকা হয়েছিল নিজেদের অবস্থান ঠিক করার জন্য বলে জানা গেছে। এবং এই বৈঠকে যোগ দিয়েই কংগ্রেসের নবীন ও প্রবীণ নেতার মধ্যে দেখা যায় আলাপ-আলোচনা চলছে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কোনো প্রভাব যে তাঁদের ওপর পড়েনি, সে কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে ওই আলাপচারিতায় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছিল, এদিন রাজস্থান বিধানসভায় গেরুয়া শিবির থেকে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে রাজস্থানে আবার পুরনো কংগ্রেসকে দেখে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে আর এগোনোর সাহস হয়নি বলে দাবী রাজনৈতিক মহলের একাংশের। বিশেষজ্ঞদের দাবি, অনাস্থা প্রস্তাব যদি গেরুয়া শিবির আনত, তাহলে সেক্ষেত্রে বর্তমানে তাঁদেরই মুখ পুড়ত। অন্যদিকে শচীন পাইলট দলে ফিরে আসলেও এই মুহূর্তে তিনি আর তাঁর পুরনো স্থানে নেই। উপমুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ যাওয়ার সাথে সাথে বিধানসভায় তাঁর আসনটিও বদলেছে। এই অবস্থায় অবশ্য শচীন পাইলট বুঝিয়ে দিয়েছেন এই নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন।

অন্যদিকে, রাজস্থান বিধানসভায় প্রত্যাশামতোই আস্থা ভোটে জিতে ক্ষমতায় রইলেন গেহলট সরকার। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, আপাতদৃষ্টিতে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটে গেলেও ভবিষ্যতে আবার যে হবেনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এবং সেদিকেই এখন কড়া নজর রাখছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজস্থান বিধানসভার বর্তমান অধিবেশন যে নাটকীয়তায় মোড়া হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলের প্রত্যেকের মনে একটাই প্রশ্ন, গল্পে আবার নতুন কোন চমক নেই তো?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!