এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিদ্রোহীদের মান ভাঙাতে মমতার হাতিয়ার শতাব্দী! মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

বিদ্রোহীদের মান ভাঙাতে মমতার হাতিয়ার শতাব্দী! মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কিছুদিন আগে পর্যন্ত তাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। ফেসবুকে তার একটি পোস্ট এবং তার পরবর্তী কালে তার দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে সেই শতাব্দী রায়ের চলে যাওয়া এবং তারপর বৈঠক শেষে তৃণমূলের প্রতি আনুগত্য পোষণ করতে দেখা যায় বীরভূমে তৃণমূল সাংসদকে। আর এরপরই রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি করা হয় শতাব্দী রায়কে।

কিন্তু শতাব্দী রায়ের দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলা থেকে চুপ করে গেলেও বিভিন্ন জেলায় একের পর এক তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতা কর্মীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সকলেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে পুরুলিয়ার জনসভা থেকে সেই বিদ্রোহীদেরকে মান ভাঙানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়! এদিন তার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, এদিন পুরুলিয়ার হুটমোড়ায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই জনসভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে উঠে বিদ্রোহীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, “সংসারে অশান্তি হয়। নিজের লোককে বকা যায়। বাইরের লোক এসে কিছু বলবে, এটা হতে দেওয়া হবে না। আমাদের অভিমান থাকতে পারে ওনার ওপর। কিন্তু অন্য রাজ্যের মানুষ এসে ওনাকে বলবে, এটা মানব না।”

আর শতাব্দি রায়ের এই মন্তব্যের পরই অনেকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, তাহলে কি যে সমস্ত নেতারা বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন, তাদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন শতাব্দী দেবী! তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, বিজেপির পক্ষ থেকে যে চেষ্টাই করা হোক না কেন, তা কোনোমতেই সফলতা পাবে না। অর্থাৎ ঘরের লোকেরা যাতে কোনোভাবেই বিজেপি নেতাদের কথায় প্রলোভিত না হন, পরোক্ষে পুরুলিয়ার সভা থেকে সেই কথাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট সাংসদ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শতাব্দী রায়কে সামনের দিকে ঠেলে দিয়ে বিদ্রোহীদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন। পুরুলিয়ার সভা থেকে শতাব্দী রায়ের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, বিজেপি যেভাবে তৃণমূলকে ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছে, তা তারা কোনোমতেই মেনে নেবেন না। এক্ষেত্রে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক তৃণমূল নেতাদের মন্তব্য বর্তমানে অস্বস্তিতে ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরকে।

তাই এই পরিস্থিতিতে শতাব্দী রায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর পুরুলিয়ার সভা থেকে সেই সমস্ত নেতাদের বার্তা দিয়ে দলের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানোর চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শতাব্দী রায়কে দিয়ে এই ধরনের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দলের শৃঙ্খলা কতটা বজায় থাকে এবং বিদ্রোহীদের মান আদৌ ভাঙে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!