এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষারত্ন পুরস্কারের সিদ্ধান্ত, মূল্যায়ন নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা!

বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষারত্ন পুরস্কারের সিদ্ধান্ত, মূল্যায়ন নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছর থেকেই বিদ্যালয়ের দরজা কার্যত বন্ধ। শেষ কবে ছুটির ঘন্টা শুনেছিলেন শিক্ষার্থীরা, তা মনে করতে পারছেন না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ থাকলেও, প্রতিবারের মত এবারেও শিক্ষারত্ন পুরস্কার দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে আবেদন করবার জন্য একটি পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়েছে। যেখানে শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের আবেদন জমা করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়ার কথা এবং আবেদন করার কথা জানানোর সাথে সাথেই নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

যেখানে দুই বছর ধরে কার্যত বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ, সেখানে কিভাবে কাদের কাদের এই শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়া হবে এবং তার মূল্যায়ন করা হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে। অনেকে বলছেন, যে সমস্ত কারণের জন্য এই শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়, সেই মূল্যায়ন এখন আর করা সম্ভব নয়। কেননা বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কোনো রকম কাজ করতে পারেননি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাই তাদের অবদান কি, তারা কতটা বিদ্যালয়ের জন্য কাজ করেছেন, কিভাবে করেছেন, তার কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে না। সেদিক থেকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়া নিয়ে এবার বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, যে সমস্ত মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়, তার মধ্যে অন্যতম, বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কতটা অবদান রয়েছে! আর এখানেই প্রশ্ন, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ। তাহলে বিদ্যালয়ের উন্নতিতে কিভাবে অংশ নেবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা? এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করার দরজা খুলে দেওয়া হলে সেখানে যে আবেদনের হিড়িক পড়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু মহামারীর কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও, কোন মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষারত্ন প্রাপকদের তালিকা নির্ধারণ করা হবে, এটাই অনেকের কাছে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এর ফলে এই তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়ে যেতে পারে।

এদিন এই প্রসঙ্গে কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “বহু শিক্ষক আছেন, যারা ভালো কাজ করেন। বহু ছাত্রকে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন। কিন্তু তারা নিজে প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে চান। সেই কারণে নিজে থেকে আবেদন করেন না। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে প্রতিটি জেলার শিক্ষকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে। কারা শিক্ষারত্ন পাবেন, তার প্রাথমিক নির্বাচন জেলা স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করতে পারে স্কুলশিক্ষা দপ্তর।”

এদিকে শিক্ষারত্ন নির্বাচনকে সাধুবাদ জানালেও গোটা ব্যাপারটি যাতে নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে হয়, সেই কথাই তুলে ধরেছেন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার। অনেকেরই আশঙ্কা, এবার যেহেতু বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ, তাই এই তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা কিছুটা হলেও বাধা তৈরি করতে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত শিক্ষারত্ন প্রাপকদের তালিকা সামনে আসার পর তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ার বিস্তর আশঙ্কা রয়েছে বলেই দাবি করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে যার ভিত্তিতে মূল্যায়ন, সেই বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষারত্নের দরজা খুলে দেওয়ার পর কারা কারা শিক্ষারত্ন পান এবং সঠিক মূল্যায়ন হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!