ষষ্ঠ দফার ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরই সপ্তম দফার নির্বাচন নিয়ে যখন শাসক বনাম বিরোধী নেতাদের প্রচারে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতিকে, ঠিক তখনই গতকাল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর রোড শো ঘিরে বিদ্যাসাগর কলেজে ভয়াবহ তাণ্ডবের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাংলা।

অভিযোগ, এদিন বিদ্যাসাগর কলেজের ভেতরে থাকা প্রাচীন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তিটি ভেঙে দেওয়া হয়। আর যে ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধেই এই মূর্তি ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে যখন বিদ্যাসাগর কলেজে এহেন তান্ডব লীলা চলছে, ঠিক তখনই বেহালার জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে মূর্তি ভাংচুরের অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

পাশাপাশি গোটা রাজ্যে এই মূর্তি ভাঙ্গার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আবেদন জানানোর পাশাপাশি গতকাল মধ্যরাত থেকেই নিজের ফেসবুক ডিপিতে বিদ্যাসাগরের ছবি লাগিয়ে প্রতিবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নেত্রীর দেখাদেখি তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও নিজেদের সোশ্যাল সাইটে বিদ্যাসাগরের ছবি লাগিয়ে প্রতিবাদ জানান।

তবে প্রথম থেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে যে, এই মূর্তি ভাংচুরের মত জঘন্য ঘটনার সঙ্গে তারা কোনোভাবেই জড়িত নয়। উল্টে তৃনমূলের পক্ষ থেকেই বিদ্যাসাগরের মূর্তিকে ভেঙে তাদেরকে বদনাম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। আর এমন একটা পরিস্থিতিতে এবার সে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গচুর জোড়া এফআইআর দায়ের হলো বিজেপির বিরুদ্ধে।

সূত্রের খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা জোড়াসাঁকো থানায় বিজেপির বিরুদ্ধে এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি গতকাল মধ্যরাতে আমহার্ট স্ট্রিট থানায় বিদ্যাসাগর কলেজ পড়ুয়ারা মূর্তিভাঙা কাণ্ডে একটি এফআইআর দায়ের করেন। সব মিলিয়ে এবার বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডবের জেরে জোড়া এফআইআর দায়ের করা হল।