এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙা! বছর পেরোল, হাতে বহু অকাট্য প্রমাণ! তবুও থমকে তদন্ত! উঠছে বহু প্রশ্ন

বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙা! বছর পেরোল, হাতে বহু অকাট্য প্রমাণ! তবুও থমকে তদন্ত! উঠছে বহু প্রশ্ন


প্রায় এক বছরের মত সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রচুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মূল অপরাধের নাম-পরিচয় জানা গেল না, তা নিয়ে সিটের তদন্তে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

কেন হঠাৎ এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তদন্তপ্রক্রিয়া এতটা স্তব্ধ? একাংশ বলছেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙতে ভিডিও ফুটেজে যে যুবককে দেখা গিয়েছে, তাকে সনাক্ত করা কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি। ফলে মূল অপরাধীকে এখনও ধরা যাচ্ছে না। তবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনার তদন্তে নেমে দুজন প্রত্যক্ষদর্শীকে ধরে পুলিশ।

জানা যায়, এই দুজন ব্যক্তি তাদের মোবাইল ফোনে সেই ভিডিও করেছিলেন। ইতিমধ্যেই তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে তাদের দুটি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই ভিডিও ফুটেজ দেখেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে যদি ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করা না যায়, তাহলে সেই অপরাধের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা কেন তা করল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সব মিলিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেওহ কেন এখনও পর্যন্ত প্রকৃত দোষী গ্রেফতার হচ্ছে না, সেই বিষয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর 14 মে বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রোড শো চলার সময় বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে একদল দুষ্কৃতী বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করে। যে ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এমনকি তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের সময় তৈরি হয় বড় রাজনৈতিক টানাপোড়েন। একে অপরের বিরুদ্ধে মনিষীদের অসম্মান করার তকমা লাগাতে শুরু করেন। আর এই পরিস্থিতিতে সিটের হাতে তদন্তভার গেলে আশা করা হয়েছিল, দ্রুত এই ব্যাপারে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

কিন্তু এক বছর পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও যেভাবে তদন্তের গতি প্রকৃতি ঢিলেমি পর্যায়ে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!