এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > পুরসভার স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের নামে কোটি-কোটি টাকার দুর্নীতি – তীব্র চাঞ্চল্য অনুব্রত-গড়ে

পুরসভার স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের নামে কোটি-কোটি টাকার দুর্নীতি – তীব্র চাঞ্চল্য অনুব্রত-গড়ে

এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো অনুব্রত মন্ডলের গড়েও। সূত্রের খবর, স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পে এবার 16 কোটি টাকার বেশি আর্থিক দুর্নীতিতে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।

সূত্রের খবর, গত 2012 থেকে 2015 সালের মধ্যে এই এসভিএসকেপি প্রকল্পে ঋণ ও ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, জেলা প্রশাসন যে তালিকা পাঠিয়েছে সেই তালিকায় কারচুপি করে একজনের ভর্তুকি অন্যজনকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী এই ভর্তুকির টাকা পাওয়ার পর লোন অ্যাকাউন্টগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, নিয়ম মতে সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন 18 থেকে 47 বছর বয়সের ব্যাক্তিরা।  কিন্তু সেই যুবক যুবতীরা বারবার ঘুরেও ঋন না পেলেও সাবসিডির টাকা পাওয়ার লোভে 62 বছরের এক বৃদ্ধকে এই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, এই ভতুড়ে লোন অ্যাকাউন্টের সাহায্যে অভিযুক্ত ব্যাক্তি নিজের স্ত্রী, পুরসভার সিপিএম এবং তৃনমূল কাউন্সিলর এমনকী তাদের পরিবারের সদস্যদেরও এই টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের তালিকায় কারচুপি করে   16 কোটি টাকার ওপর সাবসিডি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুরসভার অধীনে থাকা ওই দুই ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এবং সহায়কের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রামপুরহাট থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন জেলা স্বনির্ভর এবং স্বনিযুক্তি প্রকল্পের আধিকারিক মৃন্ময় সাহা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা সম্পূর্ন বেআইনি। আমি দ্বায়িত্বে আসার দু থেকে তিনবছর আগে এটি ঘটেছে। জেলা প্রশাসনের তরফে তদন্তের পর থানায় এফআইআর হয়েছে।”

এদিকে এহেন দুর্নীতি প্রসঙ্গে বিধায়ক তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যুবক যুবতীদের ঋন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সাহায্য করছে না। পুলিশ ব্যাবস্থা নেবে।” এদিকে তদন্ত চলছে তাই এখন কিছুই বলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৎকালীন এই প্রকল্পের সহায়ক এবং অভিযুক্ত বিশ্বরূপ চক্রবর্তী।

অন্যদিকে সেই ঘটনায় অভিযুক্তরা দুই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বদলি হয়ে যাওয়ায় এবং সদ্য  একমাস হল এই রামপুরহাটার শাখার বর্তমান ইউবিআই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পদে যোগ দেওয়ায় কিছুই বলতে চাননি জয়ন্তকুমার স্বর্নকার। তবে এই ব্যাপারে সেই ব্যাঙ্কের বীরভূম এবং বর্ধমানের অ্যাডমিন সনৎ সেনকে ফোন করা হলে তিনি সমস্ত দায় সর্বোচ্চ কর্তার ঘাড়েই চাপিয়ে দিয়েছেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে রিপোর্ট চাওয়া হলেও তাঁদের শাখায় কোনো তদন্ত কমিটি আসেনি বলে জানান এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের এলাহাবাদ শাখার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সনু সৌরভ। সব মিলিয়ে স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে চরম চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল বীরভূমে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!