এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > লক্ষ্য ২০১৯ – পঞ্চায়েতেই শাসকদলের ঘুম ওড়াতে জোট নিয়ে বড় ঘোষনা বিরোধীদের

লক্ষ্য ২০১৯ – পঞ্চায়েতেই শাসকদলের ঘুম ওড়াতে জোট নিয়ে বড় ঘোষনা বিরোধীদের

একদিকে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের দাপটে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু সংগঠন, অন্যদিকে ক্রমশ পিছন থেকে উঠে আসছে বিজেপি। আর তাই অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে আবার ২০১৬ এর মডেলে ফিরতে চাইছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। আদালতের নির্দেশে মনোনয়নের জন্য অতিরিক্ত একদিন পাওয়া গেলেও, ‘শাসকদলের সন্ত্রাসে’ তা কাজে লাগানো যায় নি অভিযোগে আদালতের মুখাপেক্ষী হয়ে লাভ হয় নি। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আর নির্বাচনী ব্যাপারে নাক গলাবে না। আর তাই কমিশনের ঘোষণা মত এবার শুরু হবে স্ক্রুটিনি ও মনোনয়ন প্রত্যাহারের পালা। আর তার আগেই বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রস্তাব দিলেন অন্যতম শীর্ষ সিপিএম নেতা গৌতম দেব, আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তাতে সম্মত হতে বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করলেন না। ফলে রাজ্য-রাজনীতিতে শুরু নতুন জল্পনা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এদিন সিপিআইএম নেতা গৌতম দেব বলেন, রাজ্যে তৃণমূল সন্ত্রাসের যে জাল ছড়িয়েছে, তা মোকাবিলা করতে সম্মিলিত লড়াইয়ের প্রয়োজন। সন্ত্রাস-হিংসার জেরে সমস্ত আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তারা যদি সমঝোতার ভিত্তিতে ভোটে সামিল হয়, তবে শাসকদলকে ঝটকা দেওয়া সম্ভব হতে পারে। এর প্রত্যুত্তরে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, কংগ্রেস এই প্রস্তাবে সম্মতি জানাচ্ছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে কোনও অসুবিধা নেই, রাজ্যে জোট করে শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। আমি আগেও বহুবার বলেছি, রাজ্যে কংগ্রেসের জন্য বামেদের দরজা খোলা। তাছাড়া রাজ্যের বহু জায়গাতেই অলিখিত জোট হয়েছে, নেতৃত্বের দরকার হয়নি। মানুষই তাঁদের প্রয়োজনে বিরোধীদের জোট করে নিয়েছে, এই জোট তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থার জোট। মানুষ যদি সত্যিকারের জোট গড়ে, সেখানে কোনও শক্তিই তাঁকে আটকাতে পারবে না, আর তৃণমূল তো কোন ছাড়। তবে মুর্শিদাবাদে আমাদের মারধর করে মনোনয়নই করতে দেওয়া হল না। এখানে সেই জোটের ফায়দা তোলার কোনও জায়গা নেই। কিন্তু এক মাঘে শীত যায় না, আবার নির্বাচন আসবে তখনই আমরা তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেব, কত ধানে কত চাল!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!