আদালতের রায়ে সবথেকে বড় ধাক্কাটা খেলেন অনুব্রত মন্ডল! বিশেষ খবর রাজ্য May 8, 2018 কলকাতা হাইকোর্টে সিপিএমের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ এক ঐতিহাসিক রায়ে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার জানিয়ে দেন গত ২৩ এপ্রিল বিকেল ৩ টে পর্যন্ত যতগুলি মনোনয়ন সিপিএম ই-মেলে জমা করেছে তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ করতে হবে এবং সেগুলি স্ক্রুটিনির পর নতুন করে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আদালতের এই অভিনব রায়ে রাজ্য-রাজনীতিতে বোধহয় সবথেকে বড় ধাক্কাটা খেলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। ‘রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়’ করিয়ে ও জেলা জুড়ে ‘মশারি টাঙিয়ে’ তিনি বীরভূম জেলায় ৪২ টি জেলা পরিষদ আসনের সবকটি, ১৯ টি পঞ্চায়েত সমিতির ১৬ টি এবং ১৬৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৪০ টিতে ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ জিতে বঙ্গ রাজনীতিতে এক অনন্য নাজির সৃষ্টি করেছিলেন। আর তারপরেই, ভরা সাংবাদিক বৈঠকে, বিরোধীদের দেখে ‘হতাশ’ হয়ে বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জন্য বীরভূম জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে বা পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পাবে না জানতাম, কিন্তু জেলা পরিষদেও বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পেল না! এটা লজ্জার! আর অনুব্রতবাবুকে এবার সেই ‘লজ্জার হাত’ থেকে বাঁচিয়ে দিল আদালতের ঐতিহাসিক রায়। কেননা সূত্রের খবর, অনুব্রত মন্ডলের ‘রাস্তায় দাঁড়ানো উন্নয়নের’ জোড়ে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারলেও, ইমেলে অন্তত জেলা পরিষদেই ২০ জন বাম প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়ে রেখেছেন। ফলে স্ক্রুটিনিতে তথ্যগত ভুলের জন্য কোনো মনোনয়ন বাদ না গেলে অন্তত ২০ টি আসনে নির্বাচন হচ্ছেই। এর উপরে আছে পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইমেলে মনোনয়ন। তাছাড়া আদালতের আজকের রায়ের পরে গেরুয়া শিবিরও জানিয়েছে তাদের তরফেও অন্তত ২ হাজার মনোনয়ন নির্বাচন কমিশনে পাঠানো আছে, আর আদালত যদি সেই মনোনয়ন গুলিকেও মান্যতা দেয়, তাহলে অনুব্রতবাবুর মশারি গলে আরো বেশি সংখ্যক আসনে নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। আর তাই এখন দেখার অনুব্রতবাবুর কথামত নির্বাচনের দিন ‘রাস্তায় দাঁড়ানো উন্নয়ন’ দেখিয়ে কতগুলি ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ যেটা আসন তিনি ধরে রাখতে পারেন। আপনার মতামত জানান -