এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের কাছে বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের

পঞ্চায়েতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের কাছে বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের

সকালেই ই-মনোনয়ন নিয়ে আদালতের কাছে বড় ধাক্কা খেয়েছে নির্বাচন কমিশন, আর এবার পঞ্চায়েতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের কাছে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। আদালত রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল বুথের চরিত্র বিচার করে (সাধারণ, স্পর্শকাতর ও অতি-স্পর্শকাতর) কোন বুথে কত সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবস্থা করতে চলেছে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, ৫৮ হাজারের মধ্যে এবার ভোট হতে চলেছে ৪৭ হাজার ১০০ বুথে। এই সমস্ত বুথে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, মোট ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫০০ পুলিশকে ব্যবহার করবে রাজ্য, তার মধ্যে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ ৭১ হাজার ৫০০, বাকি ৮০ হাজার লাঠিধারী পুলিশ (সিভিক ভলান্টিয়ার ও এনভিএফ) এবং ভিন রাজ্যের পুলিশ ২ হাজার। অর্থাৎ, প্রতি বুথে ১ জন করে সশস্ত্র ও ১ জন করে লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। ফলে মোট ৯২ হাজার ২০০ জন পুলিশ লাগবে নির্বাচন করতে। বাকি বাহিনীকে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই রিপোর্ট পেয়ে প্রধান বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ই নিরাপত্তা কি যথেষ্ট বলে মনে করেন? এই বাহিনী কি অপ্রতুল নয়? আপনারা কি কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়ার কথা ভাবছেন? আর বিচারপতির এই প্রশ্নের মাধ্যমেই রাজ্য-রাজনীতিতে বড়সড় জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার যেখানে বলেছিল ভিন রাজ্য থেকে বাহিনী এনে নির্বাচনের কাজ করিয়ে দেবে, কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী নেবে না, সেখানে দেখা যাচ্ছে পাঁচ রাজ্যের কাছে সাহায্য চেয়ে পুলিশ পাওয়া গেছে মাত্র ২ হাজার। আর তাই রাজ্য সরকার নজিরবিহীনভাবে সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট করতে চাইছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি স্বয়ং কেন্দ্রীয়বাহিনী আনার কথা জিজ্ঞাসা করছেন। অর্থাৎ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে আস্থা দেখতে পারছেন না স্বয়ং প্রধান বিচারপতি। ফলে সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয়বাহিনীর নজরদারিতে করার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হল, যা প্ৰথ দিন থেকে এড়িয়ে যেতে চেয়েছে রাজ্য সরকার। আর বাস্তবে যদি সত্যিই রাজ্যের দাবিকে উড়িয়ে কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে ভোট হয় তাহলে তা বড়সড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের কাছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!