প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জল্পনা চলছিল কয়েকমাস ধরেই। অবশেষে আজ তৃনমূলে প্রত্যাবর্তন করলেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যে রাজীব বন্দোপাধ্যায় বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে হঠাৎ পুরনো দলের প্রতি বেসুরো বক্তব্য রাখতে শুরু করেন তারপর যোগদান করেন গেরুয়া শিবিরে, ভোটের সময়ও যিনি একের পর এক বোমা ফাঁটান তৃণমূলের বিরুদ্ধে, কিন্তু ভোটে পরাজয়ের পরই সুর বদলাতে শুরু করে তাঁর। দলের একের পর এক বৈঠকে অনুপস্থিতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় দলকে সমালোচনা চলতে থাকে। তখন থেকেই তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা চলছিল, আজ তা সম্পূর্ণ হলো।

আজ ত্রিপুরাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিন আগেই ত্রিপুরার আগরতলায় পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই তার প্রত্যাবর্তনের জল্পনা চলছিল। তবে সে বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের একাধিক নেতার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। বারবার তৃণমূলে ফিরে আসার চেষ্টা করছিলেন। তবে এতদিন তাঁর প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়নি।

শেষ পর্যন্ত এবার ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন তিনি। এর নেপথ্যের কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন, দলের একাধিক নেতার বিরোধিতা। অনেকে এটাও মনে করছেন যে, ত্রিপুরাতে একসময় তৃণমূলের প্রচারের কাজে বড়সড় ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কারণে তাঁকে ত্রিপুরায় নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হতে পারে। তবে, জানা যাচ্ছে ত্রিপুরাতে দলের কাজে এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, মেঘালয়, ত্রিপুরার মত রাজ্যে দলের সংগঠন বিস্তারের কাজে নামবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যতে তাঁকে দলের কাজে ব্যবহার করলে, অনেকেই তাঁর বিরোধিতা করতে পারেন, এই কারণেই এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল, এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি। আবার, অনেকে এটাও বলছেন যে, ত্রিপুরাকে একেবারে হাতের তালুর মতো চেনেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁকে দিয়ে ত্রিপুরাতে বড়োসড়ো খেলা খেলতে চাইছে তৃণমূল।