এখন পড়ছেন
হোম > Uncategorized > Big breaking আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, মাথায় হাত মুকুলের!

Big breaking আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, মাথায় হাত মুকুলের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তাকে নিয়ে এমনিতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। একসময় তার কথার ওপর রাজ্য রাজনীতির পথ ধাবিত হতে বলেই মনে করেন সকলে। কিন্তু বর্তমানে সেই মুকুল রায়ের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কথাকে ঘিরে নানা আলোচনা তৈরি হতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। দীর্ঘ চার বছর বিজেপিতে কাটিয়ে কিছুদিন আগেই নিজের পুরাতন দল তৃণমূল কংগ্রেস ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু তারপর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তাকে নানা প্রশ্ন করা হলে তিনি মাঝেমধ্যেই নিজেকে বিজেপির সৈনিক বলে দাবি করছেন। যার ফলে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। অনেকেই বলছেন, এটা মুকুল রায়ের কৌশল। আবার অনেকে বলছেন, পারিবারিক সমস্যা থেকে শুরু করে সহধর্মিনীর বিয়োগের কারণে মস্তিষ্ক ঠিক নেই মুকুলবাবুর। আর সেই কারণেই তিনি অসুস্থতার নিরিখে এই সমস্ত কথা বলছেন।

তবে যে কোনো কারণেই হোক, মুকুল রায়ের এই মন্তব্য নিয়ে যখন চর্চা চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে, ঠিক তখনই ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গেলেন বাংলার রাজনৈতিক চানক্য কথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। যেখানে আদালতের নির্দেশে এবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2019 সালের 9 ফেব্রুয়ারি খুন হয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। সেই সময় বিজেপিতে ছিলেন মুকুল রায়। আর তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে এই ব্যাপারে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে। যেখানে সন্দেহভাজনদের তালিকায় নাম ছিল তৎকালীন এই বিজেপি নেতার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের সেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার পর সেই মামলা নিয়ে আর কোনো খবর প্রকাশ্যে আসেনি। এদিকে আদালতের পক্ষ থেকে বারবার এই মামলার কারণে মুকুল রায়কে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি হাজিরা দেননি বলেই অভিযোগ। আর সেই কারণেই এবার রানাঘাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের পক্ষ থেকে সেই মুকুল রায়ের নামে জারি করা হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। তবে তা জামিনযোগ্য বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু যে কোনো কারনেই হোক, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার পর এই মামলাতে তিনি স্বস্তি পাবেন বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগীয় বিচারক যেভাবে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেন, তাতে মুকুলবাবুর চাপ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শরীর খুব একটা ভালো নেই মুকুল রায়ের। সহধর্মিনীর চলে যাওয়ার আঘাত যে তিনি খুব একটা মেনে নিতে পারছেন না, তা তার একের পর এক বিভিন্ন মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাজ্য রাজনীতি সম্পর্কে অবহিত মুকুল রায়ের আচরণ দেখে অনেকেই হকচকিয়ে যাচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে সেই মুকুল রায়ের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা রায়সাহেবের যে কপালে ভাঁজ ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে এই চাপ সামাল দেন মুকুল রায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!