এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > Big Breaking, আরও কমে গেল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা। রাজ্য রাজনীতিতে আরও কোণঠাসা গেরুয়া শিবির?

Big Breaking, আরও কমে গেল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা। রাজ্য রাজনীতিতে আরও কোণঠাসা গেরুয়া শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিল, কিন্তু মাত্র ৭৭ টি আসনে বিজেপির রথ থমকে যায়। এবার বিজেপির আরো দুজন বিধায়ক পদ থেকে অব্যাহতি নিলেন। এর ফলে বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৭৫। এরফলে রাজ্য রাজনীতি আরো শক্তি ক্ষয় হল বিজেপির।

বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল বিজেপি। একারণে বিজেপির চারজন সাংসদকে নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছিল। যারা হলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। এদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেবার সিদ্ধান্ত থেকেই হয়ত এই পরিকল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির এই ৪ জন সাংসদদের মধ্যে দুজন সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। যারা হলেন নিশীথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকার। এবার এই দুই সাংসদকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। কারণ সাংসদ পদ ধরে রাখতে গেলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে হবে। আবার বিধায়ক পদ ধরে রাখতে গেলে সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে হবে। দুটি ক্ষেত্রেই উপনির্বাচনে লড়াই করতে হবে তৃণমূলের সঙ্গে। সম্প্রতি, রাজ্যে যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিজেপি। তাতে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করে আসন ধরে রাখা সহজ হবে না বলেই, মনে করছেন অনেকে।

অনেক চিন্তাভাবনা করে শেষ পর্যন্ত বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেন নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। তাঁরা জানিয়েছেন, বিধায়ক হিসেবে থাকতে চান না তাঁরা। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারায়, বিধায়কপদ ধরে রাখতে চান না এই দুই সাংসদ। পরিবর্তে সংসদে থেকে নিজেদের লড়াই জারি রাখতে চান তাঁরা। এরফলে দিনহাটা ও শান্তিপুর আসন দুটি বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়ল। এই দুটি আসনে পুনর্নির্বাচন হবে। এই আসন দুটি ধরে রাখাই বিজেপির কাছে এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালো।

লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর ক্যারিশমায় ভর করে বিজেপি ১৮ টি আসন লাভ করেছিল। রাজ্যে সেসময়ে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পেরেছিলো বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। নবাগতরা আবার প্রত্যাবর্তন করতে পারেন, এমন আশঙ্কাও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে দুটি আসন ধরে রাখা বিজেপির পক্ষে যথেষ্ট কঠিন লড়াই হতে চলেছে বলেই, মতামত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!