এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Big Breaking ব্যাপক রদবদল! বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলে! জেনে নিন

Big Breaking ব্যাপক রদবদল! বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলে! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময়কালে দলীয় বৈঠক থেকেই পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছিল চর্চা। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী শিবিরে নাম লেখার পর যেভাবে তৃণমূলের বিদ্রোহ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে, তাই এই পরিস্থিতিতে “পর্যবেক্ষক” শব্দটি ব্যবহার না করলেও বিভিন্ন জেলায় নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে সেই পর্যবেক্ষকের সমান দায়িত্ব দিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে একাধিক প্রবীণ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কারা কারা দায়িত্ব পেলেন? কোন কোন জেলার দায়িত্বে কারা এলেন! জানা গেছে, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া এবং হুগলি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। একইভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার পাশাপাশি দুই বর্ধমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের মুখে দলের প্রবীণ নেতাদের আবার বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে বসানোয় এখন নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বেশ কিছুদিন আগেই পর্যবেক্ষক পদ খুলে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার দলের বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব দিয়ে সেই পদকেই কি কার্যত ফিরিয়ে আনল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব! এখন তা নিয়েই জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্য জুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিভিন্ন জেলার ক্ষেত্রে শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হলেও, বেশ কিছু জেলার সংগঠনের জন্য সেই জেলা সভাপতিদের উপরেই ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে দক্ষিণ 24 পরগনায় শুভাশিস চক্রবর্তী, উত্তর 24 পরগনায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলকে সেই জেলার সংগঠন সামলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই সমস্ত জেলায় রাজ্যস্তরের কোনো নেতা দায়িত্বে থাকবে না বলেই খবর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করার জন্য তৃণমূল শীর্ষ নেতারা এবার বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব নিয়ে সেখানকার সংগঠনকে মজবুত করতে চলেছেন!

একাংশ বলছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন চরম আকার ধারণ করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যেমন রাশ টানার চেষ্টা করলেন, ঠিক তেমনই বিরোধীদের জবাব কিভাবে করতে হবে, তাও এই সমস্ত নেতাদের মধ্যে দিয়ে এসেই জেলায় পৌঁছে দিতে চান তৃণমূল নেত্রী। তবে একাধিক প্রবীণ নেতাকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠনকে কতটা চাঙ্গা করতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!