প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে জনসংযোগ আরও মজবুত করতে দিকে দিকে রথযাত্রা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি দেওয়ার সাথে সাথেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যে এলাকা দিয়ে সেই রথযাত্রা যাবে, সেই এলাকার স্থানীয় প্রশাসন তার ব্যাপারে অনুমতি দেবে।

আর এর পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে সেই রথযাত্রা বের করা নিয়ে তৎপরতা গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বিজেপির পরিবর্তন রথযাত্রাকে আটকে দিল প্রশাসন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিজেপিকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, 34 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বেলডাঙ্গা থেকে বহরমপুর পর্যন্ত এই রথযাত্রা অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এর পাশাপাশি আর কোনো রুট দিয়ে সেই রথযাত্রা করা যাবে না। এমনকি সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে এই রথযাত্রা সম্পূর্ণ করতে হবে।

তবে যাত্রাপথে কোনোরকম মাইক ব্যবহার করা যাবে না। থাকবে না কোনো বাইক মিছিল। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জাতীয় সড়ক ধরে সেই রথযাত্রা করার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হলেও, তাতে গররাজি ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

ইতিমধ্যেই রথযাত্রার রুট বদলের প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা পথ অবরোধ করেছেন। অনেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় স্তরে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানোর পরেই সেই রথযাত্রা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। বিজেপির একাংশ অভিযোগ করেছিলেন, আসলে সুকৌশলে নবান্ন গোটা ব্যাপারটি এড়িয়ে গিয়ে বিতর্ককে পাশ কাটানোর চেষ্টা করল।

এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আগেভাগেই নির্দেশ দেওয়া থাকবে যে, কোনোমতেই আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশংকা প্রকাশ করে এই রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া যাবে না। আর এখন সেই রথযাত্রার উদ্যোগ নেওয়ার সাথে সাথেই একাধিক শর্ত দিয়ে সেই রথযাত্রাকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন বলে অভিযোগ ভারতীয় জনতা পার্টির।

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে রাস্তা দিয়ে এই রথযাত্রা করার কথা রয়েছে, সেই এলাকা সংখ্যালঘু এলাকা। ফলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাই অন্য এলাকা দিয়ে এই যাত্রা বের করার জন্য বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।