প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী এখন ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা। শুভেন্দুবাবু গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পরেই কিছুটা হলেও স্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আর তারপরেই নন্দীগ্রামে গিয়ে গড় রক্ষা করতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনিই এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী হলে শুভেন্দু অধিকারী কি তার বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটের দাঁড়াতে রাজি হবেন, তা নিয়ে চলেছিল নানা বিশ্লেষণ। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের দলের টিকিট দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

স্বাভাবিকভাবেই নন্দীগ্রাম যে এখন রাজনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু, তা বলাই যায়। তবে প্রথম থেকেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম আসনে পরাজিত করবেন বলে দাবি করে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেও তার মুখে শোনা গেল সেই একই কথা। সূত্রের খবর, এদিন নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে রীতিমত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমি মাননীয়কে নন্দীগ্রামে হারাবই হারাব। এ মাটি আমার চেনা। কুড়ি বছর কাজ করেছি। আমি ওখানে ভোট দেব। আপনি টিভিতে দেখবেন। প্রাক্তন বিধায়কের প্যাড আপনি ছাপিয়ে রাখুন।”

অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তার কাছে কোনোভাবেই জয়লাভ করতে পারবেন না, তা ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে আরও একবার জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই গর্জন যদি বাস্তবে রূপায়িত হয়, তাহলে তা যে বঙ্গ রাজনীতিতে বড়সড় মোড় নিতে চলেছে, তা বলাই যায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী এই রকম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরের দিন ব্রিগেড সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তার এই ধরনের চ্যালেঞ্জ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, 294 টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এবার সবথেকে জমজমাট লড়াই হতে চলেছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। একসময় খবরের শিরোনামে থাকত এই নন্দীগ্রাম। কিন্তু বিগত বাম শাসনে একসাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী লড়াই করলেও, এবার একে অপরের প্রতিপক্ষ তারা। স্বাভাবিকভাবেই লড়াই যে জমজমাট হবে, তা বলাই যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি পরাজিত করবেন বলে রীতিমত পন করে বসলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি এই ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী মন্তব্য করতে দেখা গেল তাকে। তবে শেষ কথা বলবে ভোটবাক্স। তাই মিটিং মিছিল করে চ্যালেঞ্জ করলেও শুভেন্দু অধিকারী বাস্তবে ভোটবাক্স খোলার পর তার কথা কতটা বজায় রাখতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।