প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে জল্পনাতে সীলমোহর পড়ল। বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রের সহধর্মিণী শিখা মিত্র যোগদান করতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। একসময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক থাকলেও, দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি হওয়ার কারণে দল ত্যাগ করেছিলেন। কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে স্বামী সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার কারণে আরও বেশি করে কংগ্রেসী রাজনীতিতে ধ্যান-জ্ঞান দিতে শুরু করেন শিখা মিত্র। কিন্তু সাম্প্রতিককালে কংগ্রেসের সঙ্গে তার দূরত্বের বিষয়টি স্পষ্ট হতে শুরু করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শিখা মিত্রের কথোপকথন ঘিরে তৈরি হয় জল্পনা। আর এই পরিস্থিতিতে তিনি রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের যুক্ত হতে পারেন বলে মনে করা হয়েছিল। অবশেষে সেই সম্ভাবনাই বাস্তবায়িত হল।

সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল সাংসদ মালা রায় এবং তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের নাম লেখান শিখা মিত্র। তবে শুধু তিনিই নন, তার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হন বিশেষ মুখ হিসেবে পরিচিত দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকা শুভ্রা ঘোষ এবং উত্তর কলকাতার কংগ্রেস নেতা অমিত ঘোষ। এদিন তৃনমূলের পক্ষ থেকে এই তিন হেভিওয়েটকে স্বাগত জানানো হয়। মূলত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শিখা মিত্রকে দলের স্বাগত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়ে দেন মালা রায়। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে তাকে বঙ্গজননী সংগঠনের বড় দায়িত্ব বসারও হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল সাংসদ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমেন মিত্র এবং শিখা মিত্র একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। তবে কংগ্রেস রাজনীতি থেকেই তারা নিজেদের পথচলার শুরু করেছিলেন। মাঝে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হলেও পরবর্তীতে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাদের বনিবনার অভাব দেখা যায়। যার কারণে আবার কংগ্রেসে ফিরে যান তারা। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে মিত্র পরিবারের সঙ্গে ক্রমশ তিক্ততা শুরু হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীর।

কিন্তু সেই সোমেন মিত্র প্রয়াত হওয়ার পর থেকেই শিখা মিত্রের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রতি ক্ষোভ বাড়তে থাকে বলে খবর সামনে আসে। আর এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই শিক্ষা মিত্র তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হলেন তিনি। তবে ঘাসফুল শিবিরও যুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই বঙ্গ জননী সংগঠনের কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে শিখা মিত্রকে বসানো হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।