প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের‌। বিরোধীদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠনের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ক্রমশ বিড়ম্বনা তৈরি হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যখন আর কিছুদিন বাকি, ঠিক তখনই ধর্মতলায় রানী রাসমণি রোডে বিক্ষোভরত শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ সদস্যদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়।

জানা গেছে, এদিন এই অবস্থান-বিক্ষোভ শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত হতেই তাকে ঘিরে ধরে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানাতে থাকেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা। স্বাভাবিক ভাবেই মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেতন কাঠামোর উন্নতি সহ একাধিক দাবি নিয়ে এসএসকে, এমএসকে, প্রাণীমিত্র, পার্শ্ব শিক্ষক সহ মোট 13 টি সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের প্রতিবাদ চলছে। বিভিন্ন সময়ে নবান্ন অভিযান থেকে শুরু করে বিকাশ ভবন অভিযান করেছেন তারা। কিন্তু তারপরেও নানা বাধা পাওয়া সত্ত্বেও নিজেদের আন্দোলন থেকে সরে আসেননি এই সংগঠনের সদস্যরা।

রবিবার ধর্মতলার রানী রাসমণি রোডে শিক্ষক সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে অবস্থান-বিক্ষোভ করা হয়েছিল। আর সেখানেই পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কি কি সুবিধা গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানাতে উপস্থিত হন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরে তাকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সংগঠনের সদস্যরা। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। আর নির্বাচনের আগে এভাবে হেভিওয়েট মন্ত্রী বিক্ষোভের মুখে পড়ায় রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যখন এত সুবিধা গ্রহণ করা হয়েছে, তার পরেও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সংগঠনের এক সদস্য বলেন, “গত বার আমাদের সাতজন প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন‌। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে একই সাথে আমরা বেতন বৃদ্ধির দাবি করছি।”

অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও, বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে তাদের লড়াই এবং আন্দোলন যে চলবে, তা কার্যত পরিষ্কার।এদিন শিক্ষামন্ত্রী সেই বিক্ষোভরত সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পরেও, যেভাবে তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরলেন, তাতে শাসকদল তথা সরকার পক্ষের অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই দাবি করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।