প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির জন্য আজ নির্বাচন কমিশনকেই অভিযুক্ত করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ভোট গণনার দিন নির্বাচন কমিশন কি প্রটোকল মানতে চলেছে? সে বিষয়ে আদালতকে ৩০ সে এপ্রিলের মধ্যে স্পষ্ট জানবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। নির্বাচন কমিশনের এই রায়কে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই নির্দেশকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন। আদালত পরিস্কার ভাবে জানাচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশন নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারে না। কেরালা, তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট হলে, আসামে দুদফায় ভোট হলে, পশ্চিমবঙ্গে কেন ভোট করা হচ্ছে ৮ দফাতে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, মানুষকে মেরে ফেলতে কি ৮ দফায় ভোট করা হচ্ছে?

তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপি প্রচার চালিয়েই যাচ্ছে। হাজার হাজার, কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। তৃতীয় দফার ভোটের সময়ই করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে বোঝা গিয়েছিল, তৃণমূলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে, দফা কমাবার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের আর্জি মেনে নেয়নি।

তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল না হয় প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে, কিন্তু বিজেপি তো প্রচার করেই চলেছে। টিভি খুললেই বিজেপির প্রচার শোনা যায়। তৃণমূল দলের অত পয়সা নেই। তাই ভার্চুয়ালি প্রচার করছে তৃণমূল। বারবার বলা হয়েছিল একসঙ্গে নির্বাচন করতে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সে কথা শোনে নি। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, বিপর্যয় মোকাবিলা না করে বাংলা দখল করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার জন্য এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই আচরন কোনভাবেই মানা যায় না।

তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন বিজেপির টিয়া, ময়না। বিজেপির কথায় তিন লক্ষ বাহিনী এনে দিয়েছে কমিশন। যেখানে ইচ্ছে বদলি করে দিচ্ছে পুলিশকে। নির্বাচন কমিশন মনে করছে, এভাবে বিজেপি নির্বাচনে জিতে যাবে। কিন্তু তা কোনদিন সম্ভব হবে না। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি অনেক সহ্য করেছেন। অনেক কিছু হচ্ছে বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু এবার আর তা করবেন না। তিনি ভেবেছিলেন, কমিশন শুধরে যাবে। কিন্তু একই কাজ কমিশন করে চলেছে। কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করে চলেছে। যার প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।