প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ দুপুরে নন্দীগ্রামে সভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নন্দীগ্রামের তেখালিতে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার কারণে সেজে উঠছে নন্দীগ্রাম। এই নন্দীগ্রাম থেকে একসময় রাজনীতিতে পালাবদলের পদধ্বনি শোনা গিয়েছিল। আবার এই নন্দীগ্রাম হলো শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের পর আজ তাঁর খাস তালুকে মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে আসছেন। যেখানে ব্যাপক লোক সমাগমের লক্ষমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল।

এক দশক আগে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় বারবার মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন সেখানে। কিন্তু গত ৫ বছর নানা কারণেই হোক মুখ্যমন্ত্রীর এখানে আসা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আজ মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার কারণে চারদিক পোস্টার, হোর্ডিং, ব্যানারে ছেয়ে গেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার পরতে দেখা গেল নন্দীগ্রামে। ‘মমতা ব্যানার্জি গো ব্যাক’ লেখা পোস্টার পড়ায় ছড়িয়ে পরলো তীব্র চাঞ্চল্য।

স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ ভোর বেলায় নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ১ অঞ্চলের অনেকটা জায়গা জুড়ে মমতা ব্যানার্জি গো ব্যাক লেখা পোস্টার পাওয়া গেছে। আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার দেখে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার দেখে ঘটনাস্থলে পৌঁছান শাসক দলের বিভিন্ন নেতারা। কারা এই পোস্টার দিয়ে গেছে? তা এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে, শাসক দলের অনুমান গতকাল রাতেই কেউ এমনটা করে গেছেন।

নন্দীগ্রামে শেষবারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর এসেছিলেন ২০১৫ সালের ২১ সে ডিসেম্বর। নন্দীগ্রামে সভা থেকে সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন যে, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী করা হবে শুভেন্দু অধিকারীকে। ভোটে জয়লাভ করলে তাঁকে রাজ্যের মন্ত্রী করা হয়। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথা রেখে ছিলেন। এরপর একাধিকবার মেদিনীপুরে এলেও নন্দীগ্রামে আসেননি মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ বছর পর তিনি আসতে চলেছেন নন্দীগ্রামে। এ প্রসঙ্গে তাঁকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ” ৫ বছর অন্তর উনি আসেন ভোটের বছরে। ”

অন্যদিকে, আজ মুখ্যমন্ত্রীর এই জনসভা শাসকদল তৃণমূলের কাছে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। এই জনসভায় রেকর্ড সংখ্যায় জনসমাগমের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। আজ নন্দীগ্রামের মাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী কি বক্তব্য রাখবেন? সেদিকে কৌতুহল আছে সকলের। আগামী বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে নন্দীগ্রাম থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের ঘর গোছানোর কাজ শুরু করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনা আছে আজ রাতে।