এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > Big Breaking নন্দীগ্রাম দিবসে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু, সরগরম রাজ্য রাজনীতি!

Big Breaking নন্দীগ্রাম দিবসে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু, সরগরম রাজ্য রাজনীতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে পরিবর্তনের দরজা খুলেছিল সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম থেকে। আর এই দুই জায়গার আন্দোলনের উপর ভর করে তৃণমূল কংগ্রেস 2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলেও, নন্দীগ্রামের সমস্ত দেখভাল করতেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম দিবস থেকে শুরু করে নন্দীগ্রামের শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো, সবকিছুই তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে করতে দেখা যেত তাকে। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী কিছুদিন আগেই যোগদান করেছেন তৃণমূলের প্রবল প্রতিপক্ষ ভারতীয় জনতা পার্টিতে। বর্তমানে তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী।

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতে সেই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করার কিছুদিন আগে থেকে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হওয়া পর্যন্ত সব সময়ের এতদিন পর কেন তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রামকে মনে পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ নন্দীগ্রাম দিবসের দিন শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে।

বলা বাহুল্য, আজ সকাল থেকেই নন্দীগ্রাম দিবস পালনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল সেই নন্দীগ্রাম এলাকায়। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে “বিশ্বাসঘাতক” বলে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই সেই নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি সম্মান জানান বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ইতিহাসের বইয়ের পাতায় সিঙ্গুর আছে, কিন্তু নন্দীগ্রাম নেই। যারা শহীদদের গুলি করেছিল, তাদেরকে প্রমোশন’ দেওয়া হয়েছে। তাই যারা এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের নন্দীগ্রাম দিবস পালন করার কোনো অধিকার নেই।” বিশ্লেষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একথা বলে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন। এককালে এই নন্দীগ্রামের আন্দোলনের ওপর ভর করে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলেও, কেন সেই নন্দীগ্রামের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র নিবেদন নেই, সেই প্রশ্ন এদিন ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের সেন্টিমেন্টের কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে তিনি যথেষ্ট ব্যাকফুটে ফেলে দিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তারাই শহীদদের পাশে রয়েছে বলে শুভেন্দু অধিকারীকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। তবে পাল্টা এদিন শুভেন্দু অধিকারী ময়দানে নেমে যারা নন্দীগ্রামের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখায়নি, তাদের নন্দীগ্রাম দিবস পালন করার কোনো অধিকার নেই বলে তৃনমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলে দিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের মরসুমে এখন নন্দীগ্রাম দিবসকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তেজনা জিইয়ে থাকবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!