প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বুধবার নন্দীগ্রামে প্রচার করতে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই পায়ে চোট পান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মানুষের উদ্দেশ্যে নমস্কার করছিলেন তিনি। আর সেই সময়কার দরজার গেট খোলা ছিল। আর ভিড়ের চাপে সেই দরজার গেট লেগে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই পায়ে আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তারপর থেকেই এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। শুধু তাই নয়, চার জন মিলে ধাক্কা মেরে তাকে আঘাত করেছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার এই গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুলে সেই তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের মানুষ দিদির উপর বিক্ষুদ্ধ‌। নন্দীগ্রামের মানুষের বিরুদ্ধে দিদি হামলার অভিযোগ এনেছেন। আমার মনে হয়, নন্দীগ্রামের মানুষ এর জবাব দেবে। ফল প্রকাশের দিনেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে, দিদির হাত থেকে বাংলার মাটি হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে।”

অর্থাৎ কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে তার পায়ে আঘাত নিয়ে নন্দীগ্রামের মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করে তৃণমূল নেত্রীকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় চক্রান্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির দিকে। আর এই পরিস্থিতিতে এই তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা অস্বস্তিতে ফেলে নন্দীগ্রামের মানুষকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

অর্থাৎ মমতা বন্দোপাধ্যায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকে জানিয়েছিলেন, কেউ বা কারা কোনভাবেই হামলা করেনি। তাই এই হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর এবার সেই মানুষদের পক্ষ নিয়েই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নন্দীগ্রামের মানুষকে তৃণমূল নেত্রী অপমান করছেন বলে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে জনতার মতামতকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।